নিজেকে বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সৈনিক দাবী করে তিনি জামাত শিবিরের কেউ নন দাবী করে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বগুড়া শহরের ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আলম লাখিন। ১৫ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে তাকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
রোববার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মূলত তার রাজনৈতিক, সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্যই বানোয়াট সংবাদ ও মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয় রয়েছি। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী যুবলীগের বগুড়া শহরের ১২ নং ওয়ার্ড শাখার আঞ্চলিক কমিটির সহসভাপতি পরে ২০০৩ সালে সম্মেলনে ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সেই থেকে সংগঠনের ওয়ার্ড, শহর ও জেলা শাখার সকল কর্মসুচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। তাকে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করে কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করে তিনি বলেন, ৯৭ সাল থেকেই যুবলীগের কর্মকাণ্ডে সক্রিয়, অন্য কোন দলের সাথে কখনই সম্পৃক্ততা ছিল না তাই শিবির করার প্রশ্নই আসে না। তার পরিবারের কেই জামায়াত শিবির বা বিএনপির রাজনীতির সাথে কখনই সম্পৃক্ত ছিল না। ২০০৪ সালে শহরের সাতমাথায় যুবলীগের মানববন্ধন থেকে আটক হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন এবং বিভিন্নভাবে বিএনপি জামায়াত সরকারের সময় হয়রানী, হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাকে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ভাগনে বানানোর অপচেস্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জামাত নেতা সাঈদীকে আমি কখনই স্বচক্ষে দেখিনি, তার সাথে কোনদিন কথাও হয়নি। তার বাড়ী আর আমার দাদার বাড়ী পাশাপাশি গ্রামে। তার সাথে আমাদের কোন রক্তের সর্ম্পক বা আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। আমার নানার বাড়ী কুড়িগ্রামের রৌমারীতে। তারা প্রায় ৪০ বছর যাবত বগুড়া শহরের কলোনীতে বসবাস করছেন। তিনি দীর্ঘসময় ধরে যুবলীগের সকল কর্মকাণ্ডে সর্বদা সক্রিয় রয়েছেন, আমৃত্যু থাকবেন। সাংগঠনিকভাবে তার এগিয়ে চলা থামিয়ে দিতেই মিথ্যা অপপ্রচার। তিনি অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান।