পেঁয়াজের দেখাদেখি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেছে চালের বাজারও। পনের দিনের ব্যবধানে মিনিকেট, বিআর ২৮ এর মত চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। নতুন কেনা ধানের বেশি দাম দেখিয়ে মিল মালিকেরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন যে চাল বাজারে ঢুকছে তা আগে কম দামে কেনা ধান থেকে তৈরি।
অন্য সময়ে মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে চালের এই পাইকারি বাজার ক্রেতা বিক্রেতার দর কষাকষি আর পণ্য আনা নেয়ায় সরব থাকলেও এখন এখানে শুধুই নিরবতা। কারণ হিসেবে পাইকাররা বলছেন, গত পনের দিনে অস্বাভাবিকভাবেই বেড়ে গেছে মিনিকেট, নাজিরশাইলের মত চিকন চালের দাম। অন্য বছরে জানুয়ারি মাসের দিকে দাম একটু বাড়তি থাকে। এবার নতুন কেনা ধানের বাড়তি দাম দেখিয়ে মিল মালিকেরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এখন থেকেই।
দেশের চালের বাজার এখন পুরোপুরি দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের হাতে গোনা কয়েকটি চালের মিল মালিকদের কব্জায়। হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করা এসব মিলের ব্র্যান্ডিং করা বস্তা ছাড়া খোলা চালের বিক্রি অতি নগণ্য। তাই যখন যে দামে মিল মালিকেরা চাল দেয় গোটা বাজার সেই দামে নিতেই বাধ্য। পেঁয়াজ নিয়ে সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারি তুঘলক বা মগের আমলকেও লজ্জা দিতে পারে। তাই পেঁয়াজের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ চালের বাজারের হঠাৎ অস্বাভাবিক আচরণে চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা। কারণ চালের দাম বাড়লে বাজারের অন্য পণ্যগুলোর দামও বেড়ে যায়। হুমকির মুখে পড়ে খাদ্য নিরাপত্তা।