লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্ব ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিমের মারধরের ঘটনার পর থেকে মুখে ও মাথায় ব্যাথার যন্ত্রণা এখনো অনুভব করলেও একদিন পর দশ হাজার টাকায় সমাধা হয়েছে। এর আগে রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুল হকের মারধরে ২ ঘন্টা অজ্ঞান থাকার পর সদর হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে হয়েছে ৮ বছরের শিশু ফাহিমকে। ফাহিম (৮) সদর উপজেলার হিরামন বাজার এলাকার ধর্মপুর গ্রামের মৃত মহিমের পুত্র ও পূর্ব ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ফাহিমের নানা মজিবুল্লাহ্ জানান,ছোট বেলায় ফাহিমের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই তার নাতী ফাহিম ছিলো তাদের সকলের আদরের। কেন, কি কারনে? নির্মম ভাবে মারধর করেছে প্রধান শিক্ষক অহিদুল। তা এখনো জেনে উঠতে পারেনি তিনি। তিনি জানান,নাতীকে চিকিৎসার জন্য রোববার সদর হাসপাতালে নেয়া হলেও সেখানে থেকে ফাহিমকে সামান্য চিকিৎসা দিয়েই বাড়িতে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক অহিদুল। এরপর ওই শিক্ষক সামান্য কিছু ওষধ ও কয়েকটা টাকা দিয়ে সমাধা করা হয়েছে বলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিসহ লোকজনকে জানান। তবে এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে তিনি আরো জানান, এভাবেই রেহাই পায় অপরাধীরা। আর কত কাল।মারধরের ঘটনায় শিক্ষকের বিচার হওয়া দরকার ছিল। তা হতে দেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা বলছে,ফাহিমকে হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা না দিয়েই তরিঘরি করে বাড়ীতে এনে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে সমাধার পথ খুজে নিয়েছেন পূর্ব ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুল হক। এর আগেও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মসহ তার স্ত্রী,সন্তান ও ছাত্র-ছাত্রীদের মারধরের অনেক ঘটনার অভিযোগ।
নানা অনিয়ম অভিযোগ অস্বিকার করে পূর্ব ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুল হক জানান,তার প্রতিষ্ঠানের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিমকে তার অন্যায়ের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির লোকজন ও অন্যান্য শিক্ষকরা জানেন কার দোষ। আর শিক্ষকরা এর রকম মারধরসহ দু’একটা শাষন করে। এ ঘটনায় সামান্য কিছু টাকায় সমাধা করা হয়েছে। এখন আর খেলা-লেখি বিষয়টি বারাবারি হবে। তার দরকার নাই।
সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লাহ্ জানান, শিক্ষার্থী মারধরের বিষয়্িট অন্যায়। তবে এ বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তার পর ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীর মারধরের ঘটনা তদন্ত হবে। তদন্তে পূর্ব ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রমানিত হয়ে বিভাগীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।