বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার সব চেয়ে পূরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুনামের সাথে পাঠদান করে আসছে রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। একশতাব্দির বেশি সময় ধরে প্রতি বছরই এসএসসি, অষ্টম শ্রেণির বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা সাফল্য মন্ডিত ফলাফল উপহার দিলেও আজও জাতীয় করণ করা হয়টি এই বিদ্যালয়টি। দীর্ঘ দিন ধরে এলাকাবাসী,বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসলেও ১২১ বছরেও জাতীয়করণ হয়নি শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। ১৮৯৮ সালে ইউনিভারসিটি অফ ক্যালকাটার অনুমোদন নিয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর বাজার থেকে দুইশত গজ দক্ষিনে ২ একর ৭৮ শতাংশ যায়গাজুড়ে রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদান চলে আসছে,যে ধারা আজও বহমান। ১২১ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জ্ঞান অর্জন করে বহু ছাত্র/ছাত্রী আজ দেশ বিদেশে শুনামের সাথে কাজ কাজ করছে। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি আঃ জব্বার খান, সাবেক স্পীকার আঃ ওহাব খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন ড. মতিউর রহমান, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব প্রফেসর আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ অনেক জ্ঞানীগুণীজন। এমপিওভুক্ত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে সহ¯্রাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে, রয়েছে ৩৩ জন শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কর্মচারী। জনশ্রুতি রয়েছে বাবুগঞ্জ উপজেলায় এটিই একমাত্র পূরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২ একর ৭৮ শতাংশ জমির উপর নির্মিত রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালে রয়েছে দুটি দ্বীতল ভবন, একটি একতলা ভবন, রয়েছে বিশাল শ্রেণি কক্ষ, পরিপাটি অফিস কক্ষ, একটি বিজ্ঞানাগারসহ ১০ টি শ্রেণি কক্ষ। বিদ্যালয়ে অবকাঠামো গত সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে, রয়েছে সু-বিশাল একটি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। উপজেলার সবচেয়ে পুরনো এই বিদ্যালয়টি সরকারি করণের জন্য সকল দিক থেকেই প্রস্তুত থাকা সত্ব্ওে আজও জাতীয় করণের আওতায় পরেনি। ইতি মধ্যেই জাতীয় করণের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী,এলাকাবাসীরা বেশ কয়েক বার ঢাকা-বরিশাল মহা-সড়কে মানব-বন্ধন কর্মসূচি পালন করেও সরকারের সু-দুষ্টি অর্জন করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারী,শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের দাবি এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের আওতায় আসলে এলাকার শিক্ষা ব্যাবস্থায় আরো উন্নতি ঘটবে। রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিনাস চন্দ্র রায় জানান, ১২১ বছরের পুরনো বিদ্যালয়টি সরকারী করণের দাবি পূরণের জন্য সরকারী সংস্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হাতে। প্রধান শিক্ষক বলেন পাঠদানের এই ধারা চলমান থাকলে এই বিদ্যালয়টি উজেলার অন্যতম বিদ্যালয়ে রুপান্তর হবে। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টিকে সরকারী করণের আওয়াত আনার দাবি জানান। এ বিয়ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ইতি মধ্যেই বাবুগেঞ্জ একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ সরকারী করণ করা হয়েছে। দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠাানকেই সরকারী করণের আওতায় আসবে। পর্যায়ক্রমে শতবছরের ঐতিহ্যবাহী রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিও সরকারী করণের আওতায় আসবে।