লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সৌন্দরা গ্রামে মঙ্গলবার সকালে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ভাতিজা সাহাদাৎ হোসেন টিটু ও সায়েম হোসেন চাচা নুরুল হক এমরানের শরীরে চা কেকলির দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। মুমূর্ষ অবস্থায় চাচা নুরুল হক এমরানকে ঢাকা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নুরুল হক এমরানের স্ত্রী মুক্তা বেগম বাদি হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে থানা মামলা দায়ের করেছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার সৌন্দরা গ্রামের সওদাগার বাড়ির মৃত শামসুল হক সওদারের বড় ছেলে আবদুল হাই ভুলু আমিন তার ছোট ভাই নুরুল হক এমরানের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর আদালত ও রামগঞ্জ থানা একাধিক মামলা চলে আসছে। সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আবদুল হাই ভুলু আমিনের পুত্র সাহাদাৎ হোসেন টিটু এবং সায়েম হোসেন মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সৌন্দরা নয়াবাজারে সাইফুলের চা দোকালে চাচা নুরুল হক এমরানকে একা পেয়ে মারধর করে এবং দোকানের চা কেকলির গরম পানি টেলে দেয়। প্রত্যক্ষর্দী ফজল হক,স্বপন হোসেনসহ কয়েকজন বলেন,ভাতিজা সাহাদাৎ হোসেন টিটু চা কেকলির গরম পানির চাচার উপর ছুড়ে মারে। এতে চাচা নুরুল হক এমরানের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। হাসপাতালে নুরুল হক এমরানের স্ত্রী মুক্তা বেগম বলেন, আমার ভাসুর আবদুল হাই ভুলু আমিনের নির্দেশে তার দুই পুত্র সাহাদাৎ হোসেন টিটু ও সায়েম হোসেন পরিকল্পিত ভাবে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করে শরীরে চা কেকলির গরম পানি ঢেলে দেয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাহাদাৎ হোসেন টিটু ও সায়েম হোসেন কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের পিতা আবদুল হাই ভুলু আমিন বলেন,সৌন্দরা নয়াবাজারে সাইফুলের চা দোকানে আমার ছেলে সাহাদা হোসেন টিটু গেলে আমার ছোট ভাই নুরুল হক এমরান অশ্লীলভাষা গালমন্দ করে। টিটু প্রতিবাদ করলে এমরানের হাতে দোকানের গ্লাসে থাকায় পানি নিক্ষেপ করে। এমরান পানি নিক্ষেপ করলে টিটু কেকলিতে থাকায় গরম পানি নিক্ষেপ করে। রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন,দুই ভাইয়ের পরিবারে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গরম পানি নিক্ষেপে আহতের স্ত্রী মুক্তা বেগম দায়ের করা এজাহারটি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।