নীলফামারীর সৈয়দপুরে লবনের মূল্য বৃদ্ধি হবে এমন গুজবে দোকানে হঠাৎ করে লবন ক্রেতাদের ভীড় জমে। নিমিষেই কতিপয় দোকান লবন শূন্য হয়ে পড়ে। ১৯ নভেম্বর বিকেলে হঠাৎ করে মহল্লা ও শহরের দোকানগুলোতে লবন ক্রেতার প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করা যায়। আর এ সুযোগে কতিপয় ব্যবসায়ী ২৫ টাকা কেজির লবন ২শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে। লবনের মূল্য বৃদ্ধি হবে এমন গুজব শুনে লবন ক্রয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। প্রতিজন নি¤েœ ৫ কেজি থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত বেশি দামে লবন ক্রয় করতে দেখা যায়। কোন কোন ব্যবসায়ী দোকানে লবন থাকার পরও লবন নেই বলে ক্রেতাদের ফিরে দিতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ আরও বেশী দামের আশায় দোকান বন্ধ করে রাখে। বাজারে লবন ক্রেতাদের এমন ভীড় দেখে এগিয়ে আসে পুলিশ প্রশাসন। পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে প্রশাসনের লোক লবন সংকট এবং দাম বৃদ্ধি হবে না এমন প্রচারাভিযান চালায়। প্রশাসনের সাথে যোগ দেয় শহরের ব্যবসায়ীরা। শহরের বিচালিহাটী রোডে মিলিত হয় এক সভায়। ওই সভায় সৈয়দপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ওসি শাহাজাহান পাশা বক্তব্যে বলেন গুজবে আপনারা কান দেবেন না। দেশে পর্যাপ্ত লবনের মজুদ রয়েছে। সৈয়দপুরেও লবনের কোন সংকট নেই। অপরদিকে সৈয়দপুর বনিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন সরকারকে বে-কায়দায় ফেলতে একটি মহল ভূয়া গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে লবন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অনেক লবন ব্যবসায়ী জানান আমাদের দোকানে পর্যাপ্ত লবন রয়েছে। অতএব লবনের মূল্য বৃদ্ধির এমন কোন আশঙ্কা নেই। পুলিশের কঠোর নজরদারীর কারণে শূন্য হওয়া লবন দোকানে পরক্ষণেই লবন পাওয়া গেছে এ দৃশ্যও চোখে পড়েছে। এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে নীলফামারী, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায়ও।