লবন সংকটের লক্ষ্মীপুরে গুজব ঠেকাতে মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল তিনটা থেকে লবণ সংকটের গুজবে বেচা-কেনার হিড়িক পড়েছে জেলা ও উপজেলা শহরসহ গ্রামীণ হাট-বাজারে। গৃহিণী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি পেশার মানুষের ঢল নেমেছে লবণের দোকানগুলোতে। অসংখ্য মানুষ ৫ থেকে ১০ কেজি করে লবন কিনে নিতে দেখা গেছে। এ সুযোগে দোকানীরাও কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে লবন বিক্রি করে। এতে করে জেলার প্রায় মুদি দোকানে লবন শুন্য হয়ে পড়ে। এদিকে খবর পেয়ে বিকালে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঠে নামেন। জনসাধারণকে গুজবে কান না দিতে মাইকিং করে প্রচারণা চালান তারা। বিক্রেতারা খুচরা ক্রেতাদের কাছে ১ কেজির লবন বিক্রি করতে নিষেধ করে স্থানীয় প্রশাসন।
জানাগেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর প্রচারনার কারনায় বিশ্বাস করে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে হটাৎ করেই মুদি দোকানগুলোতে শত শত পুরুষ মহিলা লবন কিনতে ভীড় করে। যার যার মতো করে ৫ থেকে ১০ কেজি লবন কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে লবনের সংকট ও দাম বৃদ্ধির খবর পেয়ে শহরের দোকানে ভীড় দ্বিগুন হয়ে যায়। দোকানীরাও ৫/১০টাকা বেশি দামে লবন বিক্রি শুরু করে। মুহুর্তের মধ্যে জেলার প্রায় মুদি দোকানে লবন শুণ্য হয়ে পড়ে।
এ বিষয়টি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত হওয়ার সাথে সাথে রামগঞ্জ ও রায়পুরে উপজেলা শহরে মাইকযোগে লবন ও পেঁয়াজ সংকটের বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার জন্য প্রচারনা চালানো হয়। এ ছাড়া বিক্রেতাদের কাছে ১ কেজির অতিরিক্ত লবন বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান ও রামগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পুলিশ নিয়ে হানা দেয় রামগঞ্জ ও সোনাপুর বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তিনি আরো জানান,শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে নিজেরাই মাইকযোগে ১ কেজির বেশি লবন কিনতে ক্রেতাদের নিষেধসহ বিক্রেতাদের সাবধান করে দেয়া হয়। বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, ঢাকায় শুনেছি লবনের কেজি ১৫০টাকা। তাই দাম আরো বেশি হওয়ার আগেই ১ কেজি কিনেছি। আবার যদি পেঁয়াজের মতো অবস্থা হয়। মিতালী ষ্টোরে এক মহিলা জানান, আমি তিন কেজি কিনেছি। ইন্টারনেটে ভূয়া খবর দেখার পর লবন নিয়ে হাহাকার চলছে।