ঝালকাঠি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রাহাতকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। রাহাতের বিরুদ্ধে তার বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস শুক্কুর মোল্লা বাসায় ভাংচুর ও অবাধ্য আচরণের অভিযোগ করেছেন পুলিশের কাছে।
জানা যায়, সকালে রাহাত তার বাবা মায়ের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এর প্রতিবাদ করলে বাসায় ভাংচুর চালায় সে। এছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কারণে তার বাবা মা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে বাসা থেকে রাহাতকে আটক করে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
রাহাতের বাবা আবদুস শুক্কুর মোল্লা বলেন, অনেক দিন ধরেই রাহাত আমাদের অবাধ্য হয়ে চলছে। তার আচরণ অসৌজন্যমূলক। সে বাবায় বিভিন্ন সময় ভাংচুর চালায়। বাধ্য হয়ে বিষয়টি আমি পুলিশকে জানিয়েছি।
ঝালকাঠি থানার ওসি আবু তাহের বলেন, রাহাতের বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করায় তাকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি। রাহাতের বাবা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রাহাতের বিরুদ্ধে মাদক সেবন এবং বিক্রিসহ নানা রকমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার ভয়ে কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনসহ অন্যান্যরা আতঙ্কিত থাকে।
চলতি বছরের গত ৬ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা গ্রামের দুবাই প্রবাসীর সাইফুল ইসলামের বাসভবনের হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রফিকুর রহমান রাহাতের নেতৃত্বে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের ৮ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রফিকুর রহমান রাহাতের নেতৃত্বে অর্ধশত ব্যক্তি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে প্রবাসী সাইফুল ইসলামের বাসায় প্রবেশ করে। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাস ভবনের বাইরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামালও ভাঙচুর করে। এই সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে ঝালকাঠি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মাহামুদ হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নেয়। কিন্তু এর আগেই হামলাকারীরা তাদের ৮ টি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই ৮টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।