ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মোঃ রাব্বী হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীকে চড় থাপ্পর মেরে পরীক্ষা না নিয়ে জোড় পূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাব্বি নলছিটি উপজেলার বৈশাখীয়া গ্রামের মোঃ ইব্রাহীম হোসেন বাদলের ছেলে এবং বৈশাখীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার ছাত্র। বৃহস্পতিবার গোহাইলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সচিব আবদুল মালেক লাইব্রেরীতে ডেকে নিয়ে রাব্বিকে ভয় ভিতি দেখিয়ে বের করে দেন।
বৈশাখীয়া ইবতেদায়ী মাদরাসার সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার গোহাইলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার ৫ম দিনে আরবি পরীক্ষা দিতে যায় মোঃ রাব্বী। পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় একঘন্টা পর ওই কেন্দ্রের সচিব গোহাইলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক আবদুল মালেক বডিচেঞ্জ করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ এনে মোঃ রাব্বীকে গালমন্দ করে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এক পর্যায় রাব্বী ভয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যায়।
কেন্দ্র সচিব আবদুল মালেক বলেন, পরীক্ষায় খাতায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক স্বাক্ষর করার সময় সবার রোল নম্বরসহ সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ছাত্র কাউকে কিছু না বলে এডমিট কার্ড এবং খাতা রেখে দৌড়ে চলে যায়। আমি কোন পরীক্ষার্থীকে বের করে দেইনি। তারা আমার বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ দিচ্ছে আমি কিছু বুঝতে পারছিনা।
অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্র সচিব প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নাম কাটিয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব হয়েছেন। গোহাইলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভাগ্নে পিইসি পরীক্ষা দিচ্ছে তাই টিএনও সাহেব আমাকে কেন্দ্র সচিব বানিয়েছেন।
নলছিটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, জোড় করে পরীক্ষার্থী বের করে করে দেওয়ার ব্যাপারে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।