ঝালকাঠিতে ফেন্সিডিল বহন করার দায়ে মোঃ আনছার আলী (৫৪) নামে এক ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাঁকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। রায় প্রদানকালে আসামী ঝালকাঠি জেল হাজতে ছিল। এ মামলায় অন্য তিন আসামী মোঃ বেল্লাল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম ও মোঃ রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাঁদেরকে খালাস প্রদান করেন। ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মো. তোফায়েল হাসান মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মোঃ আনছার আলী যশোরের শর্শা উপজেলার বাগ আচড়া গ্রামের মৃত খোদা বক্স মিস্ত্রির ছেলে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর রাত ৭টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিড়ি ইউনিয়নের ঝালকাঠি-পিরোজপুর মহাসড়কের ছত্রকান্দা নামক এলাকায় র্যাব-৮ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেন্সিডিল বিক্রির দায়ে আসামী আনছার আলীসহ ৪ জনকে আটক করে। এ সময় আনছার আলীর হাতে থাকা একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ তল্লাশি করে ৪টি খোসা ছাড়ানো নারিকেল উদ্ধার করে। পরে নারিকেলের মধ্যে অভিনব পদ্ধতিতে রাখা আড়াই লিটার তরল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে র্যাব-৮ এর ডিএডি মো. রেজাউল হোসেন বাদি হয়ে ঝালকাঠি থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফা খান ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আনছার আলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত ২০১৪ সালের ২৬ মে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ৭ জন সাক্ষির সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ)/২৫ ধারা মোতাবেক আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত এ দন্ড প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এম আলম খান কামাল ও আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মানিক আচর্য্য।