বগুড়ার সোনাতলার সোনাকানিয়া এলাকায় জমাজমি সংক্রান্ত ঘটনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদমান স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্য মারামারি এবং ধাক্কাধাক্কিতে পরে গিয়ে অশুস্থ্যএক বৃদ্ধার মৃত্যুকে কেন্দ্র গত দু’সপ্তাহ যাবত এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যপক অরাজগতা। প্রতিদিন রাতে চলছে বাড়ী ঘড়ে অব্যাহত লুটপাট ভাংচুর পারপিট। হামলা ও মামলার ভয়ে আসামি পক্ষের লোকজন ছাড়াও গোটা এলাকায় এখন পরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। পুলিশ লটপাটের বিষয়টি অস্বিকার করেছে।
গত ১০নভেম্বর তারিখে সংঘটিত সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত আবুল কাশেমের পুত্র শহিদুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় সর্বমোট ৭০জন নারী পুরুষ এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্য ১৯জনকে এজাহার নামীয় সহ আরো অর্ধশত অজ্ঞাতকে আসামি করা হয়।
সোনাতলা থানায় শহিদুল ইসলামের দায়েরকরা মামলায় এলাকার মৃত ফযলুল হক মন্ডলের পুত্র আবদুল হালিমমাষ্টার(৬০)কে প্রধান আসামি করে এজাহারে যে ১৯জনের নাম উল্লেখ করা হয় তাদের অধিকাংশই বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা। যাদের অনেকের বয়স সত্তোর অতিক্রম করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তৎক্ষনিক ভাবে এলাকার মুত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সহ ৪ বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরন করে। তারা হলেন আয়ুব হোসেন (৬৫) মোঃ ছালেক প্রাং (৬৫)পারুল বেওয়া (৬০) এবং একই এলাকার মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম(৬০)।
অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পর থেকে এলাকার প্রভাবশালী শহিদুল ইসলামের নেতৃতে গোটা এলাকার আসামি ও তাদের আত্বিয় সজনদের বাড়ী ঘড়ে চালানো হয় ব্যপক ভাংচুর লুটপাট।বাদী পক্ষের লেলিয়ে দেয়া এলাকার কতিপয়রা শুরু আসামীদের বাড়ী ঘড়েই হামলা চালিয়ে লুটপাট ভাংচুর চালিয়ে ক্ষ্যন্ত থাকেনি, তারা আসামীদের আত্বিয় সজন পরিজনদে বাড়ী ঘড়ে সঙ্গবদ্ধ ভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট তান্ডব চালায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পালিয়ে যাওয়া আসামি পক্ষ এবং তাদের আত্বিয় পরিজনদের বাড়ী ঘড়ে প্রতিদিন রাতে হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন এলাকায় বেছে বেছে আসামি ও তাদের আত্বিয় পরিজনদে তাদের বাড়ী থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ী থেকে বিতারিত করে তাদের বাড়ী গড়ে তালা ঝুলিযে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরেজমিনে এলাকায় খোঁজ খবর করতে গেলে বাদী পক্ষের লোকজন ভাংচুর ও লুটপাট করা বাড়ী ঘড়ের ছবি ধারন করতে গেলে শহিদুলের লোকজন সাংবাদিকদের বাধাদেয় এবং এবং অতি মার্জিত ভাষায় এব্যপারে লেখা লেখি করে কোন লাভ হবেনা বলে সতর্ক করে দেয়।
এবিষয়ে আরো জানা যায়, স্বাধিনতা পরবর্তি ভারতে চলে যাওয়া একটি সনাতনি পরিবারের নিকট থেকে দলিলমূলে ক্রয়করা জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন বিবাদী পক্ষ আবদুল হালিম মাষ্টার গং। পরে তাদের অন্য একটি ওয়ারিশদাবিদারের নিকট থেকে ক্রয় মূলে কাউন্টার দলিল দেখিয়ে একই জমির মালিকানা দাবী করেন শহিদুল ইসলাম। এ নিয়ে উভয় পক্ষ বিবাদ ঝগড়া মারামারিতে জরিয়ে পড়লে তৎকালিন স্থানীয় পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে উভয়পক্ষ আদালতে স্বরনাপূর্ন হলে আদালত মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেখানে স্থিতিবস্থার আদেশ জারী করেণ।
অভিযোগ রয়েছে, আদালতে মামলার নিস্পত্তি না হওয়া সর্তেও বিবাদী শহিদুল ইসলাম গত ১০ নভেম্বর সকালে এলাকার শহিদুল নামের ওই প্রভাবশালী নের্তৃতে এলাকার অর্ধশত অস্ত্রধারী সাথে ক্যমেরা নিয়ে বিতর্কিত জায়গায় গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেয়।এতে করে উভয়ের মধ্য সংঘর্ষ বেধে গেলে উভয় পক্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় শহিদুর ইসলামের অশুস্থ বৃদ্ধা মা সফুরা বেওয়া(৬৫) সেখানে ছেলেকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে ধাক্কা ধাক্কিতে পড়ে গিয়ে আহত হন। পরে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঘটনার পর দিন বিকালে তিনি চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান।
এব্যপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সোনাতলা পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরনের কারণে এক পক্ষের মামলা গ্রহন করা হলেও পুলিশ নিরীহ আত্বিয় পরিজনদের বাড়ী ঘড় ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ের তাদের উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে থানা থেকে বিতারিত করছেন। অন্যদিকে একই কারণে প্রতিদিন এলাকায় শহিদুল ও তাদের লোকজন এলাকায় তাদের উচ্ছেদ ও দখল অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এদিকে শেষ প্রাপ্ত খবর পর্যন্ত গত সোমবার রাতে এলাকায় আসামীর পক্ষের আত্বিয় বাড়ী থেকে ১টি গরু ও ২ছাগল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সচেতন এলাকাবাসী অবিলম্বে পুলিশী নিরপেক্ষ তদন্ত ও বগুড়া পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যপারে গত দুদিন যাবত সোনাতলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ অব্দুল্লাহ আল মাসুদ এর সাথে যোগাযোগ করে তার সাক্ষত প্রার্থী হলে তিনি সময় নেই বলে সাক্ষাত এড়িয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে পর মোবাইলে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার লুটপাট ও ভাংচুরের বিষয়টি সমপূর্ন অস্বিকার করেন।