ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বাউষখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার বাউষখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয় কতৃপক্ষ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমোদন নিয়ে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে উত্তোলন করে বৃত্তিপ্রাপ্তদের দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি বৃত্তি দেয়ার সময় প্রতি শিক্ষার্থীদের নিকট হতে ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীর মেধাবৃত্তির টাকা আত্মসাতসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় এমন ২০ শিক্ষার্থীর নামের বিপরীতে মেধাবৃত্তির টাকা উত্তোলন করার প্রমান পেয়েছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। গত ২ অক্টোবর অগ্রণী ব্যাংক নগরকান্দা শাখা হতে টাকা উত্তোলনের নথি থেকে এই তথ্য পেয়েছেন বলে জানান অভিযোগকারী। যাহার হিসাব নম্বরঃ বাউষখালী উচ্চবিদ্যালয় ০২০০০০০৪১৬২৩৪২।
বিদ্যালয়ের সভাপতি এমদাদ ফকির বলেন, বিদ্যলয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী চয়ন মাতুব্বরের অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারি চয়ন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েও সে বৃত্তির কোনো টাকা হাতে পায়নি। একাধিকবার বৃত্তির টাকার জন্য শরণাপন্ন হলেও প্রধান শিক্ষক জানান ভুলবশত বৃত্তির গেজেটে চয়নের নাম এসেছে, প্রকৃতপক্ষে সে বৃত্তি পায় নি। চয়নের অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের আলমারীতে রক্ষিত নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, চয়ন মাতুব্বরের নামে নিয়মিতই বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এমনকি বাউষখালী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী নয় ২০ শিক্ষার্থীর নামে নিয়মিত বৃত্তির টাকা উত্তোলন করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ। এ বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সাহিদুজ্জামান সাহিদ বলেন, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর বিধিবহির্ভুতভাবে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। এরপর থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমদাদ ফকির আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ করছেন।