লাগামহীন পেঁয়াজের বাজারে সরকারসহ পেঁয়াজ ক্রেতারা যখন দিশেহারা তখন উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদে খ্যাত পাবনার সুজানগরে এবার আগাম আবাদ করা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে আগাম ওই পেঁয়াজ উপজেলার হাট-বাজারে উঠতে শুরু করায় দামও কমে আসছে। এতে পেঁয়াজ ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আগাম মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮‘শ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অনুকূল আবহাওয়ার কারণে আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০হেক্টর বেশি জমিতে। উপজেলার চরমানিকদীর গ্রামের কৃষক মহসীন শেখ বলেন এবার মূলকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে। বিশেষ করে বর্ষার পানিতে চরাঞ্চলের জমিতে পলি জমে মাটির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে ৫০থেকে ৬০মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। একই এলাকার কৃষক আসলাম উদ্দিন প্রামাণিক বলেন এবার আমি ৫বিঘা জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদ করেছি। ইতোমধ্যে ১বিঘা জমি থেকে কিছু পেঁয়াজ তুলেছি তাতে অত্যন্ত ভাল ফলন হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে বাজারও বেশ ভাল। স্থানীয় হাট-বাজারে প্রতি মণ আগাম পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫থেকে সাড়ে ৫হাজার টাকা দরে আর পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭থেকে সাড়ে ৭হাজার টাকা দরে বলে তিনি জানান। চরসুজানগর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী রবিউল ইসলাম বলেন গত সপ্তাহ থেকে চরাঞ্চলের জমিতে আবাদ করা মূলকাটা পেঁয়াজ কিছুকিছু তোলা শুরু হয়েছে। তবে আগামী ১০/১২দিনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে তোলা শুরু হবে। পৌর বাজারের পেঁয়াজ আড়তদার আবুল কালাম এবং পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন বলেন আগামী সপ্তাহে পেঁয়াজের বাজার আরো কমে যাবে। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ মূল কাটা পেঁয়াজ ৫থেকে সাড়ে ৫হাজার টাকা দরে আর পুরোনো পেঁয়াজ ৭থেকে সাড়ে ৭হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও আগামী সপ্তাহে ওই পেঁয়াজের দাম মণ প্রতি ১থেকে ২হাজার টাকা কমে যাবে। এতে হাট-বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হবে ১‘শ থেকে ১‘শ ২০টাকা কেজি দরে।