বগুড়া শহরের কড়িতলা এলাকায় রেল লাইনের উপর গড়ে ওঠা হঠাৎ মার্কেটে ট্রেন ঢুকে পড়ায় মহিলা সহ কমপক্ষে ১০ব্যক্তি আহত হয়েছে।এসময় ট্রেন চালকের দূদর্শিতায় রক্ষা পেয়েছে বহু প্রান।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বগুড়া রেলস্টেশনের অদূরে কঁড়িতলা রেলওয়ে মার্কেটের পাশে রেল লাইনের উপর গড়ে ওঠা হঠাৎ মার্কেটে।
জানা গেছে, বগুড়ার রেল ষ্টেশনের পূর্ব এলাকার কঁড়িতলা এলাকার রেল লাইনের উপর গড়ে ওঠা হঠাৎ মার্কেটের কারণে এলাকা এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। রেল লাইনের উপর অবৈধ গড়ে ওঠা রেলওয়ে ’হঠাৎ মার্কেট’ এর কারণে ট্রেনে কাঁটা পড়ে কলেজ ছাত্রীসহ মারা গেছে কয়েক জন। গত কয়েক বছরে পঙ্গুত্ব বরন করেছেন অনেকে। তার পরেও বন্ধ করা যায়নি হঠাৎ মার্কেটের দৌরত্ব।
বুধবার একই ধরনের ঘটনায় প্রানহানী না ঘটনালেও একই স্থানে রেলের ধাক্কায় এবং হুরাহরি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন মহিলা সহ কমপক্ষে জন। এদের মধ্য একজনের ২টি পাই মারাত্বক ভাবে জখম হওয়ার কারণে তার জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সূত্র জানায়, উন্নত চিকিৎসার পেলে হয়তো তার দুটি পায়ের একটি রক্ষা হতে পারে।
অন্যদিকে ট্রেন চালকের দূরদর্শিতায় অল্পে বড় ধরনের দুর্ঘটনা দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়ে বহু প্রানহানী থেকে অল্পে রক্ষা পেয়েছে বহু প্রান। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় রেল লাইনের উপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক অস্থায়ী দোকানের মালামাল কাগড় চোপড় বিনষ্ট হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার বগুড়া রেল স্টেশনে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেসের সাথে দিনাজপুর থেকে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসের ক্রসিং ছিল। এ কারণে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বগুড়া রেলস্টেশনে অপেক্ষা করছিল। সে কারণে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১ নং লাইনের পরিবর্তে ২ নং লাইনে প্রবেশের সিগন্যাল দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায় সাধারনত ষ্টেশনের ১নং লাইন দিয়ে রেল চলাচর করে থাকে। কেন্তু গতকাল ২টি ট্রেনের এক সাথে ক্রসিয় থাকায় রেলকর্তৃপক্ষ লালমনিগামী দোলন চাঁপা ট্রেনটিকে ষ্টেশনের ২নং লাইনে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে সিগন্যাল দেয়। এদিকে ২ নং লাইনের উপরের দোকানিরা বুঝতেই পারেনি যে,আজ ২ নং লাইনে দোলনচাঁপা ট্রেনটি প্রবেশ করবে। বেলা ১২টায় যথা সময়ে দোলনচাঁপা ট্রেনটি ২ নং লাইনে প্রবেশ করতে দেখে আতঙ্কিত লোকজন মালামাল ফেলে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়। স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় এবং ট্রেনের গতিবেগ কম থাকায় দূরদর্শিতার কারণে চালক সেচ্ছায় ট্রেন থামিয়ে দিলে বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় বহু দোকানী ও ক্রেতা সাধারন
বগুড়া রেল স্টেশনের নবাগত স্টেশন মাস্টার এসএম আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, দোলনচাঁপা ট্রেন চালকের কোন প্রকার ভুল সিদ্ধান্তে অনেকের প্রান চলে যেত। সিগন্যাল পেয়ে ট্রেনটি সঠিক লাইনেই প্রবেশ করে। চালক ট্রেন থামানোর কারণে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, শহরের রেল ষ্টেশন এলাকার কঁড়িতলা রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের পাশে রেল লাইনের উপর গড়ে তোলা ’হঠাৎ মার্কেটের’ কারণে প্রতিনিয়ত ঝুকি নিয়ে রেল চলাচল করে থাকে। রেলের কতিপয় দায়িত্বশীলদের সেচ্ছাচারিতা অনিয়ম এবং বগুড়া শহরের কয়েকজন ক্ষমতাসিনদলীয় নেতা ও তাদের বাহিনীর তত্ববধানে রেল লাইনের উপর গড়ে ওঠা মার্কেটের ৫শতাধিক কাপড় দোকানী সহ বিভিন্ন দোকানীকে মোটা অংকের উপঢৌকনের বিনিময়ে হাতের মাপে জায়গা বরাদ্ধ পেতে হয়। প্রতিদিন তাদের ৫০থেকে জায়গা বিশেষে ১৫০টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। অর্থাৎ এলাকার একজন ক্ষমদাসীন দলীয় নেতা নিয়ন্ত্রনে গড়ে ওঠা অবৈধ মার্কেটটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হলেও রেল কর্তৃপক্ষ এটিকে উচ্ছেদে রহস্যজনক কারণে কোন জোরদার ভুমিকা নিতে আগ্রহী হয়নি। মাঝে মধ্য আইওয়াশ উচ্ছেদের নামে নাটক করা হলেও ২৪ঘন্টার ব্যবধানে আবারো যথাস্থানে মর্কেটের দোকানীরা তাদের পশরা নিয়ে বসে।