বগুড়ার সোনাতলার সোনাকানিয়া এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃংখলা বাহিনীর রহস্যজনক ভূমিকায় গোটা এলাকায় অব্যাহত ভাবে চলছে দখলবাজী ,বাড়ী ঘড়ে হামলা ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা।জমাজমি সংক্রান্ত ঘটনা ও বিতর্কিত জমির দখল এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদমান স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্য মারামারি এবং ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে অশুস্থ্যএক বৃদ্ধার মৃত্যুকে কেন্দ্র গত তিন সপ্তাহ যাবত এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।
রাতের আঁধারে প্রতিদিন চলছে বাড়ী ঘড়ে লুটপাট ভাংচুর মারপিট উচ্ছেদ কর্মকান্ড। এলাকার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা মারপিটের ভয়ে কমপক্ষে ২০টি পরিবারের শতাধিক আবাল বুদ্ধ বনিতা বাড়ী ছাড়া হয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছেন। মানুষজনকে বেধে রেখে চালানো হচ্ছে অমানবিক নির্যাতন। বরাবরের মত আবারো স্থানীয় পুলিশ ভাংচুর লুটপাটের বিষয়টি অস্বিকার করেছে।
এলাকার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে গত ১০নভেম্বর তারিখে সংঘটিত সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত আবুল কাশেমের পুত্র শহিদুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় সর্বমোট ৭০জন নারী পুরুষ এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্য ১৯জনকে এজাহার নামীয় সহ আরো অধশতাধিক নারী পুরুষকে অজ্ঞাত হিসাবে আসামি করা হয়।
সোনাতলা থানায় শহিদুল ইসলামের দায়েরকরা মামলায় এলাকার মৃত ফযলুল হক মন্ডলের পুত্র আবদুল হালিমমাষ্টার(৬৫)কে প্রধান আসামি করে এজাহারে যে ১৯জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা। যাদের অনেকের বয়স সত্তোর অতিক্রম করেছে।
পুলিশ ওই ঘটনায় এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সহ ৪ বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরন করে।
তারা হলেন আয়ুব হোসেন (৬৫) মোঃ ছালেক প্রাং (৬৫)পারুল বেওয়া (৬০) এবং একই এলাকার মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম(৬০)।
অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামি পক্ষের বাড়ী ঘড়- ছাড়াও তাদের আত্বিয় পরিজনদের বাড়ী ঘড় থেকে বিতারিত করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো শুরু করে বাদী পক্ষের লোকজন।
অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পর থেকে এলাকার প্রভাবশালী শহিদুল ইসলামের নেতৃতে গোটা এলাকার আসামি ও তাদের আত্বিয় স্বজনদের বাড়ী ঘড়ে চালানো হচ্ছে ব্যপক ভাংচুর লুটপাট। বাদী পক্ষের লেলিয়ে দেয়া এলাকার কতিপয়রা শুধু আসামীদের বাড়ী ঘড়েই হামলা চালিয়ে লুটপাট ভাংচুর চালিয়ে খ্যান্ত থাকেনি, তারা আসামীদের আত্বিয় স্বজন পরিজনদে বাড়ী ঘড়ে সঙ্গবদ্ধ ভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট তান্ডব চালায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পালিয়ে যাওয়া আসামি পক্ষ ছাড়াও তাদের আত্বিয় পরিজনদের বাড়ী ঘড়ে প্রতিদিন রাতে হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন এলাকায় বেছে বেছে আসামি ও তাদের আত্বিয় পরিজনদেরকে তাদের বাড়ী থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ী থেকে বিতারিত করে তাদের বাড়ী ঘড়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরেজমিনে এলাকায় খোঁজ খবর করতে গেলে বাদী পক্ষের লোকজন ভাংচুর ও লুটপাট করা বাড়ী ঘড়ের ছবি ধারন করতে সাংবাদিকদের বাধা দেয় এবং পরিচ্ছন্ন ভাষায় হুমকি ধামকী দিয়ে এব্যপারে লেখা লেখি করে কোন লাভ হবেনা বলে সতর্ক করে দেয়।
এলাকার গিয়ে দেখা গেছে এলাকার প্রভাবশালী শহিদুলের লোকজন বিবাদী পক্ষের আত্বিয় স্বজনকে বিভিন্ন অজুহাতে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে প্রকাশ্য মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালাচ্ছে। এ নিয়ে টু শব্দটি করার সাহস পাচ্ছেনা লোকজন। এ বিষয়ে সোসাল মিডিয়া বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পরও স্থানীয় পুলিশ এ বিষয়ে কোন নিরপেক্ষ ভুমিকা না রাখায় এলাকার সর্বত্ব চলছে অরাজগতা।
এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাধিনতা পরবর্তি ভারতে চলে যাওয়া একটি সনাতনি পরিবারের নিকট থেকে দলিলমূলে ক্রয়করা জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন বিবাদী পক্ষ আবদুল হালিম মাষ্টার গং।
পরে তাদের অন্য একটি ওয়ারিশ দাবিদারের নিকট থেকে ক্রয় মূলে কাউন্টার দলিল দেখিয়ে একই জমির মালিকানা দাবী করেন শহিদুল ইসলাম নামের একজন কথিত সরকারী কমূকর্তা এবং উকিল পরিচয় দানকারী ব্যাক্তি।
এ নিয়ে বিবাদ ঝগড়া মারামারিতে জরিয়ে পড়ে উভয়পক্ষ। তৎকালিন স্থানীয় পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে উভয়পক্ষ আদালতে স্বরনাপূর্ন হলে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেখানে স্থিতিবস্থার আদেশ জারী করেন বিজ্ঞ আদালত।
অভিযোগ রয়েছে, আদালতে মামলার নিস্পত্তি না হওয়া সর্তেও গত ১০ নভেম্বর সকালে স্থানীয় থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মাসুদের পক্ষপাত মূলক আচরনে এলাকার শহিদুল নামের ওই প্রভাবশালী নের্তৃতে এলাকার অর্ধশত অস্ত্রধারী সাথে ক্যামেরা নিয়ে বিতর্কিত জায়গা দখলে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেয়।
এতে করে উভয়ের মধ্য সংঘর্ষ বেধে গেলে উভয় পক্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় শহিদুর ইসলামের অশুস্থ বৃদ্ধা মা সফুরা বেওয়া(৬৫) সেখানে ছেলেকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তিনি ধাক্কা ধাক্কিতে পড়ে গিয়ে আহত হন। পরে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঘটনার পর দিন বিকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মারা যান।এঘটনায় ১৯জনের নাম উল্লেখ করে সঙ্গে আরো অর্ধশতাধিক জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন শহিদুল ইসলাম।
এব্যপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্থানীয় পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরনের কারণে এক পক্ষের মামলা গ্রহন করা হলেও নিরীহ আত্বিয় পরিজনদের বাড়ী ঘড় ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা না নিয়ের তাদের উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে থানা থেকে বিতারিত করে পুলিশ।ফলে এলাকার নিরিহ মানুষজনের বাড়ী ঘড়ে রাতের বেলায় অব্যাহত ভাবে হামলা ভাংচুর লুটপাট দখল কর্মকা- আরো বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন এলাকায় শহিদুল ও তাদের লোকজন এলাকায় তাদের উচ্ছেদ ও দখল অভিযান অব্যাহত রেখে সে খানে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম অব্যাহত রেখেছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শেষ প্রাপ্ত খবর পর্যন্ত গত গত এক সপ্তাহে র রাতে এলাকায় আসামীর পক্ষের আত্বিয় বাড়ী থেকে ১টি গরু ও ২ছাগল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে বাড়ী ঘড় থেকে গবাদী পশু লুটপাটের সাথে সাথে বাড়ী ঘড় থেকে উচ্ছেদ অভিযান এবং গাছ কেটে সাবার করে দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যপারে সোনাতলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ অব্দুল্লাহ আল মাসুদ এর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে তিনি যান। লুটপাট ও ভাংচুরের বিষয়টি অস্বিকার করেন।
সচেতন এলাকাবাসী অবিলম্বে পুলিশী নিরপেক্ষ তদন্ত ও বগুড়া পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।