বরিশালের বাবুগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ন কমিটি দিয়ে চলছে উপজেলা যুবলীগ ও যুবদলের দলীয় কার্যক্রম। ফলে দু’সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিঁমিয়ে পড়ছে। দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে বাবুগঞ্জ উপজেলায় ১৬ বছর ধরে উপজেলা যুবলীগ ও ১৫বছর ধরে যুবদলের কোনো সম্মেলন না হওয়ায় ধারন যুব নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে উপজেলা যুবলীগ ও যুবদলের রাজনীতি নেতৃত্ব বিহীন হয়ে পড়েছে। কিছু সংখ্যক যুবলীগ ও যুবদল নেতারা দলীয় কর্মকা- সক্রীয় ভূমিকা রাখলেও দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ার ফলে তাদের মধ্যে হতাশ বিরাজ করছে। মেয়াদোর্ত্তীন উপজেলা দু’সংগঠনের বর্তমান কমিটি পদ পদবীধারী অধিকাংশ নেতারা মূলদলের কমিটিতে আসীন হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে দলটি। এতে দীর্ঘদিন ধরে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এর ফলে প্রত্যাশিত ও বঞ্চিত তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতাশায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। উপজেলা যুবলীগের দলীয় সূত্রে জানা যায় ২০০৩ সালের ১০ডিসেন্বর বরিশাল জেলা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন ও সাধারন সস্পাদক মোঃ শাহিন’র উপস্থিতে মোঃ মোস্তফা কামাল চিশস্তিকে সভাপতি ও মাসুদ করিম লাভুকে সাধারন সস্পাদক করে ৭১সদস্য বিশিষ্ট ৩ বছর মেয়াদি উপজেলা যুবলীগের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ ২বছর। এরপর কমিটির মেয়াদ প্রায় ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি। মেয়াদোর্ত্তীন কমিটির নেতাদের দিয়ে চলছে দলের কার্যক্রম। অপর দিকে ২০০৪ সালে ঢাকায় তৎকালন বরিশাল জেলা যুবদলের সভাপতি খাজা ইকবলও সাধারন সস্পাদক শাহেদ আকন স¤্রাট’র উপস্থিততে সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বাসভবনে মোঃ আওলাদ হোসেনকে সভাপতি ও মোঃ মহসিন আলমকে সাধারন সস্পাদক করে ৫১সদস্য বিশিষ্ট যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়। এরপর সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী সেলিমা রহমানের মধ্যে গ্রুপিংয়ে বিভক্ত হয় দলীয় কার্যক্রম চলছে। এ কারণে তৃর্ণ্যমূল পযার্য়ে যুবদলের কর্মীরাও দু’ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দু’সংগঠনের মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও নতুন কমিটি গঠন নিয়ে ধূ¤্রজালে পড়েছে যুবলীগ ও যুবদল। মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটি দিয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করায় তৃর্নমূলের নেতাকর্মীরা দলের হাইকমান্ডের উপর ক্ষুদ্ব রয়েছে বলে একাধিক তৃর্নমূল নেতাকর্মীরা জানান।