রবি/২০১৯-২০ মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ভূট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, শীতকালীন মুগ ও খরিফ-১ মৌসুমে গ্রীস্মকালীন মুগ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বীজ ও সারায়নিক সার বিনামূল্যে প্রনোদনার আওতায় রোববার উপজেলার ৭৪০ কৃষক এই সহায়তা পেলেন। এই প্রনোদনার আওতায় ভূট্টা ২৫০ জন, সরিষা ৪০০ জন, সূর্যমুখী ১৫ জন, শীতকালীন মুগ ৫০ জন ও গ্রীস্মকালীন মুগ ৫০ জন এই সহায়তা পেলেন। প্রনোদনা প্রাপ্তির জন্য তালিকাভুক্ত কৃষকের প্রত্যেকে ১ বিঘা জমি আবাদের জন্য বীজ ও রাসায়নিক সার সহায়তা পাচ্ছেন।
রোববার দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো: আবদুস শহীদ এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রনধীন কুমার দেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ হোসেন ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক আকরাম খান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা, শ্রীমঙ্গল সদর ইউপি চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, সমাজসেবা কর্মকর্তা সুয়েব হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যেক কৃষক ভূট্টার জন্য বীজ ২ কেজি, ডিএপি ২০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি, সরিষার জন্য বীজ ১ কেজি, ডিএপি ২০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি, সূর্যমূখীর জন্য বীজ ১.৫ কেজি, ডিএপি ২০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি, গ্রীস্মকালীন মুগের জন্য বীজ ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি, শীতকালীন মুগের জন্য বীজ ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি করে পাবেন।