স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় আগাম জামিন নিতে গিয়ে বগুড়ায় কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তরিকুল ইসলামকে জয়পুরহাটে আটক হয়েছেন। মোটা অংকের যৌতুক দাবি ও স্ত্রীকে নির্যাতন মারধর করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
পুলিশ সার্জেন্ট তরিকুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার নাজিরপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হোসেনের ছেলেএবং বগুড়া ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত । বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া ও জয়পুরহাট সার্জেন্ট পুলিশের দায়িত্বশীল ।
জানা গেছে, নবাগত পুলিশ সার্জেন্ট তরিকুল ইসলাম নিজ এলাকার জনৈক গোলাম মোস্তফার মেয়ে মায়া আকতারকে চলতি বছরের ১৪ আগস্ট দেখতে গিয়ে পছন্দ করেন। সরকারী নিয়মে চাকরীর স্থায়ী না হওয়ায় তিনি কাজী ডেকে মৌখিক ভাবে শুধু মাত্র কলমা পড়িয়ে মায়া আকতারকে বিয়ে করেন।
অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই সার্জেন্ট তরিকুল বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে শশুড়ের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। পরে সে তার স্ত্রীর মাধ্যমে টাকা না পেলে বিয়ের কাবিন নামা সম্পাদন করবেননা এমনটি সাফ জানিয়ে দেন। পরে পারিবারীক মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে তার বিয়ে রেজিস্ট্রি করাতে রাজী তিনি।
পরবর্তিতে গত নভেম্বর মাসে তরিকুলের চাকরি স্থায়ী হলে ১১ নভেম্বর তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করার সময় কনে পক্ষ অঙ্গিকারের ১০লক্ষ টাকা পরিশোধ না করে ৬ লাখ ১ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করান।
এদিকে শশুরপক্ষ তাদের অঙ্গিকার মত যৌতুকের টাকা পরিশোধ না করায় সার্জেন্ট তরিকুল ক্ষুব্ধ হন এবং স্ত্রী মায়ার উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতে থাকেন।একটি অসমর্থিত সূত্র জানায়,গোপনিয়তা রক্ষা করে কর্মস্থলে তরিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে বস্ববাস করা অবস্থায় স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালানোর ফলে স্ত্রী মায়া আকতার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং গত ১৪ নভেম্বর জয়পুরহাট চীফ জুড়িশিয়াল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সার্জেন্ট তরিকুল সোমবার আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মিস জুলিয়েট তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।