ঝিনাইদহের হরিণাকু-ুতে এক সাংবাদিককে ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরনের অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের এস আই জিয়াউল হক ও কনস্টেবল আবদুল আলিমের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় কনস্টেবল আবদুল আলিমকে বদলী করা হয়েছে। এ ছাড়া এসআই জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাসের সাথে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা জানান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও যশোর থেকে প্রকাশিত গ্রামের কাগজ পত্রিকার ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি এম.মাহফুজুর রহমান গত ১ডিসেম্বর তথ্য সংগ্রহের জন্য হরিণাকু-ু থানায় যান। থানার ওসির রুমে ঢুকতে গেলে বাধা দেন অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল। এ সময় কেন প্রবেশ করা যাবে না জানতে চাইলে ডিউটি কর্মকর্তা এস আই জিয়াউল হক ওই সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং সাংবাদিকদের নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন। এ সময় এসআই জিয়াউল হক তাকে ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলে সাংবাদিক মাহফুজ অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এদিকে রুমের বাইরে উচ্চৈঃস্বরে আওয়াজ শুনে নিজ রুম থেকে বেরিয়ে এসে ওসি আসাদুজ্জামান পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ সময় ওসির সাথেও ওই এস আই জিয়াউল হক তুই তুকারি করেন বলে জানা যায়।
অভিযোগপত্রে সাংবাদিক নিজের নিরাপত্তা এবং এস আই জিয়াউল হক ও কনস্টেবল আবদুল আলিমের বিচার দাবী করেন।
এদিকে মঙ্গলবার এ বিষয়ে হরিণাকু-ু প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুজ্জামান তাজুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ওসির সাথে দেখা করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অভিযুক্ত এসআই জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, কনস্টেবল আবদুল আলিমকে বদলী করা হয়েছে। এস আই জিয়াউল হকের বিরুদ্ধেও তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হরিণাকু-ু থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসানোর বিষয়টি সঠিক নয়, সেদিনকার ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।