মুলাদীতে তিন স্বর্ণের দোকানসহ ৪ দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। গত সোমবার রাতে মুলাদী বন্দরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিহিত ২০/২৫ জন ডাকাত বোমা ফাটিয়ে ডাকাতি করে। ওইসময় ডাকাতরা বন্দরের পাহারাদারসহ ৮/১০জনকে মারধর ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখেছিলো। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বরিশাল পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম, জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ তারিকুল হাসান খান মিঠু, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ, উপজেলা জাপা সভাপতি হারুন অর রশিদ খান ডাকাতিস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে জহিরুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মুলাদী বন্দরের জননী জুয়েলার্সের ম্যানেজার সাগর জানান সোমবার রাত ২টার দিকে পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ানের পোশাক ও মুখোশ পরিহিত ২০/২৫জন ডাকাত বন্দরে প্রবেশ করে মধ্য বাজারের জননী জুয়েলার্সের তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার লুট করে এবং তাকে পাশ্ববর্তী রহমত স্টোরে নিয়ে আটকে রাখে। পরে ডাকাতরা পাহারাদার ও বন্দরের বিভিন্ন বাসা থেকে বের হওয়া লোকজনদের আটকে রহমত স্টোরে নিয়ে আসে। পরে ডাকাতরা রিতা জুয়েলার্স, বনশ্রী জুয়েলার্সে ডাকাতি করে। স্বর্ণের দোকানের মালিকরা জানান ডাকাতরা রিতা জুয়েলার্সের ৩০ ভরি স্বর্ণ, ৪ কেজি রূপা; জননী জুয়েলাসের সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণ ও ২০০ ভরি রূপা, বনশ্রী জুয়েলার্সের ৫ভরি স্বর্ণ ও ৩০০ ভরি রূপা, রহমত স্টোরের মূল্যবান কসমেটিকসসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। চার দোকান থেকে ডাকাতরা প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে দাবী করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান ডাকাতি চলাকালীন মুলাদী থানার টহল পুলিশ বন্দরে প্রবেশ করলে ডাকাতরা পুলিশ লক্ষ করে বোমা নিক্ষেপ করে। ওই সময় পুলিশ পিছু হটলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতরা রহমত স্টোরের সিসি ক্যামেরা ও মেশিনপত্র নিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় মুলাদী পৌরসভা চত্বরে জরুরী বৈঠক করেছেন। এ ব্যাপারে মুলাদী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।