শীতের আগাম ফসল হিসেবে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খিরা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। খিরা চাষ করে অনেক চাষীরাই এখন স্বাবলম্বী হয়েছে।
কৃষকরা জানান, বাংলা বর্ষের কার্তিক মাসের শুরু থেকে জমি চাষ ও সার প্রয়োগের মাধ্যমে আগাম খিরা চাষের জমি তৈরি করা হয়। বাজারে দেশীয় উফশী ও হাইব্রিড দুই জাতের খিরা চাষ হয়ে থাকে। জমিতে বীজ বপনের ১০-১৫ দিনের মাথায় চারা গজায়। ১ মাসের মাথায় গাছে ফুল ও ফলের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়। দেড় মাস পূর্ণ হওয়ার পর গাছ থেকে খিরা সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে বাজারে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে ‘খিরা’ বিক্রি হচ্ছে।
‘খিরা’ একটি উপাদেয় সবজি। গুল্মজাতীয় সবজির মধ্যে শসার মতো খিরাই একমাত্র কাঁচা খাওয়ার উপযোগী। ‘খিরা’ সালাদের উপকরণ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। গরমে পানির তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরের চর্বি কমাতেও সহায়ক ‘খিরা’। কৃষক আবু তাহের জানান, চলতি আমন ধান কাটার পর ওই জমিতে আরো খিরার চাষ করবেন। তার মতো তাড়াইলের ভেইয়াকান্দা,কাওয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকার চাষীরা আগাম খিরার চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন।
তাড়াইল উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে খিরা চাষের প্রতি কৃষকরা বেশি আগ্রহী হয়েছে। জমিতে খিরার আগাম চাষ হয়েছে। উপজেলার উচুভূমিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে খিরা চাষ হয়ে থাকে। তাড়াইল উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা আবদুল আহাদ জানান, অল্প সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে খিরা চাষে অধিক লাভ করা যায়। তাই প্রতিবছরই নতুন নতুন কৃষক খিরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।