মুলাদীতে বোমা ফাটিয়ে তিনটি জুয়েলার্স ও একটি মুদি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মুলাদী থানা পুলিশ বাদী হয়ে ২টি এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনকে আসামী করে ১টি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ জহিরুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার করে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছেন। জানাগেছে গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিহিত ও মুখোশধারী ২৫/৩০জন ডাকাত মুলাদী বন্দরে প্রবেশ করে পাহারাদার ও রাস্তায় থাকা লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মধ্য বাজারের বনশ্রী জুয়েলার্স, জননী জুয়েলার্স, রিতা জুয়েলার্স এবং রহমত স্টোরের তালা কেটে মালামাল লুট করে। ওই সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। টহলরত পুলিশ ইজিবাইক নিয়ে মুলাদী মধ্য বাজারে প্রবেশ করার সময় ডাকাতরা পুলিশের গাড়ির সামনে বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় মুলাদী থানার এসআই মনিরুজ্জামান তালুকদার বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জন ডাকাতকে আসামী করে অস্ত্র আইনে ১টি ও বিষ্ফোরক আইনে ১টি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া বন্দরের রিতা জুয়েলার্সের মালিক মনি শংকর কর্মকার উজ্জল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনকে আসামী করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মুলাদী পৌর এলাকার লালু বেপারীর ছেলে জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এব্যাপারে মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জ ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অব্যহত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। যেকোনো সময় মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করা হতে পারে।