৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের গফরগাঁও হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভোরের রক্তিম আভার মুক্ত এলাকা গফরগাঁওয়ে আস্তে আস্তে ভিড় জমতে থাকে সাধারণ জনতা। খবর পেয়ে মুক্তিযুদ্ধাদের দল একে একে প্রবেশ করতে থাকে মুক্ত গফরগাঁওয়ের মুক্ত মাটিতে। প্রথম প্রবেশ করে কামাল বাহিনী। গণরোষে নিহত হয় বেশ কিছু সংখ্যক আলবদর ও রাজাকার। বাকীরা মুক্তিযুদ্ধা নেতৃত্বের কোন্দলের সুযোগে পালিয়ে যায়। ৭১ এর মার্চে মুক্তিযুদ্ধাদের সংগঠিত করার এক পর্যায়ে ১৭ এপ্রিল সকালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী দুটি জঙ্গী বিমান থেকে গফরগাঁও বাজারে নিরীহ মানুষের উপর বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণ করা হয়। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন অগণিত নিরপরাধ মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের বেশ কিছু পাক সেনা নিহত হয়। শহীদ হন প্রায় অর্ধশত বীরমুক্তিযুদ্ধা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর চূড়ান্ত হামলার মুখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পশ্চাৎপসারণ করতে থাকলে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে মুক্ত হয় গফরগাঁও। লাল সবুজের পতাকা হাতে বিজয় উল্লাস করে সর্বস্তরের মানুষ। স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও উপজেলার বধ্য ভূমিগুলো সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। রক্তের স্মৃতি বধ্য ভূমিগুলো আজো অবহেলিত ও উপেক্ষিত, অরক্ষিত। এগুলো সংরক্ষণের আহবান জানিয়েছে এলাকাবাসী। গফরগাঁওয়ে পাকহানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে গফরগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।