বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিএনপি এখন মরা গাঙে পরিণত হয়েছে। ¯্রােতহীন এই গাঙে আর কখনো জোয়ার আসবে না। বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদার জিয়ার দুই বছরের কারাভোগের মধ্যে দুইমিনিটের জন্যও বিএনপির নেতারা আন্দোলন করতে পারেনি। তারা শুধু দলীয় আবাসিক অফিসে প্রেস কনফারেন্স করছে। জনগণ এখন তাদের আন্দোলন সংগ্রাম প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই বলা যায় বিএনপির নেতৃত্ব মরা গাঙে আর কোনোদিন জোয়ার আসবে না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন নালিশী পার্টিতে পরিণত হয়েছে। দেশ-বিদেশে নালিশ করে বেড়াচ্ছে। কেননা তাদের এখন নেতৃত্ব সংকট দেখা দিয়েছে। বিএনপির পরিণতি মুসলীগ লীগের মতো হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি এখন অস্তিত্ব সংকটে। তাদের নেতিবাচক রাজনীতির কারণে এদের পরিণতি হবে মুসলিম লীগের মত। আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিল দরকার নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, সুবিধাবাদী, খারাপ লোকের আমাদের দরকার নেই। এরা দলে ঢুকে উইপোকার মতো সব খেয়ে ফেলে।
রোববার দুপুরে বরিশাল মহানগরীর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মানেই উন্নয়নবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা আজকে শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে প্রশংসিত সমাদৃত একজন বিশ্ব নেত্রী হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন। আজকে বিশ্বের সেরা দুইজন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একজন হচ্ছেন শেখ হাসিনা, আজকের বিশ্বের সৎ তিনজন প্রধানমন্ত্রীর একজন হচ্ছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরের সফল কুটনৈতিকের নাম শেখ হাসিনা।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই শেখ হাসিনা আছেন বলে আজকের বাংলাদেশ জিডিপিতে এশিয়ার সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই আজকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আর বেশিদিন নয় যেদিন বরিশালের মানুষ পদ্মাসেতু দিয়ে যাতায়াত করবে। বিশ্বব্যাংক যখন সরে গিয়েছিলো, বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা তখন ঘোষনা দিয়েছিলেন-কেউ না করলে আমরা আমাদের নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করবো। আজ পদ্মা সেতু হচ্ছে, ফ্লাইওভার হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে, ফোরলেন হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন-বরিশাল একটি ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টার এখানে অবশ্যই ফোরলেন যুক্ত হবে। বরিশাল থেকে ফরিদপুর এডিবির অর্থায়নে আমরা ফোরলেন করবো। বরিশাল-ভোলা সেতু নির্মানের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ আমরা শেষ করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন বরিশালের রাস্তাঘাটসহ কোন সড়ক ও সেতুর কোন অভাব, কোন ঘাটতি যেন না থাকে। শেখ হাসিনা আছে আপনারা সব পাবেন। কি দিয়েছে বিএনপি। দেখান কেউ, আমি চ্যালেঞ্জ করছি এই বরিশালে বিএনপির এমন কোন কাজ আছে যেটা দৃশ্যমান। যে কাজ দেখিয়ে মানুষকে বলতে পারে আমাদের পক্ষে রায় দাও।
একটা রাস্তা, একটা ব্রীজ কিছুই করেনি, কোথাও কোন উন্নয়ন নেই। বিএনপির আছে সন্ত্রাস, দিয়েছে দুর্নীতি, লুটপাট, হাওয়া ভবন। হাওয়া ভবন মানে খাওয়া ভবন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কোন হাওয়া ভবন নেই। বিএনপির সময়ে পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। কিন্তু এখন বিএনপি যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, তখন ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো শোনায়।
সেতু মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে আজকে জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ এখন বিএনপি আন্দোলনের দল নয়, নির্বাচনেরও দল নয়, তাদের অপর নাম নালিশ দল। নয়াপল্টনে আবাসিক এক প্রতিনিধি আছে, সেখানে বসে বসে প্রেস ব্রিফিং করে, গলাবাজি করে। তারা আন্দোলন ডাকে, লোকে সারা দেয়না। বিএনপির আন্দোলনের মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসেনা। নেতা এখানেও (বরিশালে) আছে বিএনপির। দুইবছরে দুই মিনিটও একটা আন্দোলন করতে পেরেছে তারা। নালিশ, এখন দেশ ছেড়ে বিদেশীদের কাছেও নালিশ করে তারা, কথায় কথায় নালিশ। এজন্য বলি এটা এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতা নেই, নেতা কোথা থেকে আসবে সবাই কারাদ-ে দন্ডিত। এখন টেমস নদীর ওপার থেকে অর্ডার দেয়, আর পুতুল ফকরুল নাচে। টেমস নদীর ওপার থেকে নির্দেশ আসে আর যেমনি নাঁচাও তেমনি নাঁচে পুতুলের কি দোষ। ফকরুলও তেমনি নাঁচে, নাঁচে আর নাঁচে। কোন রেজাল্ট নেই। আন্দোলন করে সরকার হটাবে কিন্তু আপনাদের নিজেদের অস্তিত্ব কোথায়। উইকেট দুটি চলে গেছে। জেনারেল মাহাবুবের উইকেটের পতন, তারপর মোর্শেদ খান আপনাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এত বড় উইকেট এটাও গেছে। আরও উইকেট যাবে, যারা অপেক্ষায় রয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব এখন অস্তিত্ব সংকটে আছে। মন্ত্রী আরও বলেন-বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির জন্য এদেশে মুসলীম লীগের পরিণতি ভোগ করবে। কাজেই বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হবেন না।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন-আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখবেন। দলের মধ্যে বিবেধ, কলহ করবেন না। ঘরের মধ্যে ঘর, মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না। লোকের অভাব নেই, বরিশাল একটি ছোট্ট সিটি, সেই সিটিতে সম্মেলনে আমাদের কত কর্মী। এটাতো জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
আমি বার বার বলি, এখনও বলছি-পোষ্টার-ব্যানার দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না, বিলবোর্ডে সুন্দর ছবি দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে হলে মানুষের হৃদয় জয় করতে হবে, মানুষকে ভালবাসতে হবে, ভালবাসা অর্জন করতে হবে। আমাদের সুবিধাবাদী, খারাপ লোকের দরকার নেই, খারাপ লোকেরা এসে সব উন্নয়ন অর্জন উই পোকার মতো খেয়ে ফেলবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন-ত্যাগী কর্মীদের কোণঠাসা করে রাখলে আওয়ামী লীগ বাঁচবে না। বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলদেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার মঞ্চে বার বার দরকার।
রোববার বেলা পৌনে ১১টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিল্প মন্ত্রী আলহাজ¦ আমির হোসেন আমু এমপি। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ত্রী আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন অতিথিরা। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধণ করা হয়। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জননন্দিত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, গণপূর্তমন্ত্রী রেজাউল করিম, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহান আরা বেগম। সম্মেলনে সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন। সম্মেলনে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস সহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে সম্মেলনস্থান বঙ্গবন্ধু উদ্যান। সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সম্মেলনে যোগদান করেন। বেলা ১১টার আগেই বঙ্গবন্ধু উদ্যান জনসমুদ্রে পরিনত হয়। তাছাড়া সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছিলো। পুলিশের তল্লাশী চৌকি স্থাপন ছাড়াও মাঠের চারিপাশে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিলো। সম্মেলনকে ঘিরে গোটা মহানগরী নববধূর সাজে সাজানো হয়েছিলো। নগরীর গড়িয়ারপাড় থেকে সম্মেলনস্থল পর্যন্ত শতাধিক তোড়ন নির্মান করা হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটি গঠণ ॥ অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুন নেতৃত পেলো বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ। রোববার বিকেলে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নগরীর ক্লাব রোডস্থ বরিশাল ক্লাবে কাউন্সিলরদের কন্ঠভোটে সভাপতি হিসেবে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা গেছে, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম ৩৭১ জন কাউন্সিলদের কাছ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের নাম জানতে চান। এ সময় কাউন্সিলরা সভাপতি পদে সদ্য বিলুপ্ত বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে পূর্ববর্তী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নাম প্রস্তাব করা হয়। এ সময় সভাপতি পদে গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল স্ব-ইচ্ছায় অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেনকে সমর্থন দিয়েছেন। ফলে কাউন্সিলরদের দেয়া প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একজন করে প্রার্থী চুড়ান্ত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নাম ঘোষনা করেন।
স্মরণকালের সেরা আয়োজনে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর। ওই সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শওকত হোসেন হিরণ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে ২০ অক্টোবর মহানগর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটিতে অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালকে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে যুগ্ম সম্পাদক করা হয়।
সম্মেলনস্থলে ছাত্রলীগ সভাপতি অসুস্থ ॥ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পরেছেন। তাৎক্ষণিক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই জসিমের বুকে ব্যথা অনুভব হয়। একপর্যায়ে সে মাটিতে শুয়ে পরেন। দ্রুত তাকে শেবাচিমে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে শারীরিক দুর্বলতা চিহ্নিত করেন। জানা গেছে, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন সম্মেলনে অংশ নিতে সদর আসনের সাংসদ পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীমের কর্মী-সমর্থকদের সংগঠিত করতে বেশ তৎপর ছিলেন। সম্মেলন শুরুর আগেই ছাত্রলীগ নেতা সাগরদী থেকে বিশালাকারের মিছিল নিয়ে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের সম্মেলনে যোগদান করেন। কিছুক্ষণ পরেই সে অসুস্থ হয়ে পরেন।