বগুড়ার এক জনাকির্ন সংবাদ সম্মেলনে জান মালরক্ষায় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করলো এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। ভূয়া ও জাল দলিল সৃষ্টি করে জোরপূর্বক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা সহ অব্যাহত সন্ত্রাস, বাড়িঘর ভাংচুর,লুটপাট ও অব্যাহত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার সোনাকানিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাসেম মন্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
গতকাল রবিবার বগুড়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সোনাতলা উপজেলার সোনাকানিয়া গ্রামের মৃত ফজলুল হকের মেয়ে মোছাঃ ফেরদৌসী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি ,পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বসবাস করা অবস্থায় একই এলাকার মৃত আবুল কাসেম মন্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম সম্প্রতি ঐ জমির ভূয়া দলিল তৈরি করে জমি জোর পূর্বক দখলের হুমকী প্রদান করে আসছিল। তাদের অবৈধ দাবির প্রতি সমর্থন না করায় শহিদুল ও জাহিদুল তাদের ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের উদ্দেশ্যে গত ১১ ও ১২ নভেম্বর এবং ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় লাঠি-সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মৃত রজব আলী মন্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদুর রহমান, আব্দুল হালিম, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আমির উদ্দিন এর স্ত্রী শেফালী বেওয়া, ও হালিমা বেওয়াসহ প্রায় ৩০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। তিনি তার অভিযোগে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাত মূলক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন এলাকার মুখচেনা সন্ত্রাসীরা ঐ সব বাড়ি থেকে মূল্যমান জিনিষপত্র টিভি, ফ্রিজ, খাট, আলমারী, পালিত গরু,ছাগল ও হাস-মুরগী নগদ অর্থ ও সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় বিচার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদুর রহমান সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ অদৃশ্য কারণে মামলা গ্রহণ না করে থানা থেকে বের করে দেয়।
পরে বাধ্য হয়ে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদুর রহমান বগুড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা(নং ১৯৫সি/১৯) দায়ের করে। তবে আদালত কর্তৃক সোনাতলা থানাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলেও থানা কর্তৃপক্ষের দর্শনীয় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সন্ত্রাসীরা তাদের স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে এসব মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি বেশ কয়েকটি হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করে আসছে। তাদের হয়রানী থেকে বাঁচতে এবং মিথ্যা ও ভূয়া দলিল সৃষ্টিকারি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগি পরিবারগুলোর মধ্যে মোঃ কান্ট মন্ডল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদুর রহমান, শেফালী বেওয়া, ইসমত আরা, ছানিমা বেওয়া, মোছাঃ ফাহিমা, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইত্বপূর্বে এদত সংক্রান্ত ঘটনায় ইত্বপূর্বে সংবাদ সংস্থা এফএনএস পরিবেশিত সংবাদ, ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ায় একাধিক সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয় ।