বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৩৬টি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ৩৬ টি পদের মধ্যে ২১টি প্রধান শিক্ষক ও ১৫টি সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটি পৌরসভাসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১০৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ২১টি প্রধান শিক্ষক ও ১৫টি সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, আমার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ প্রায় ২০ বছর ধরে শূন্য। এ কারণে ক্লাস রুটিনের নির্ধারিত ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়।
উপজেলার বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, এই বিদ্যালয়ে ৭ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তাই পাঠদানের পাশাপাশি তাঁকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৩৬টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সে সব বিদ্যালয়ের শূন্য পদে ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। এখন যে কোন সময় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক যোগদান করবেন।