আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত নয়টার দিকে ববি সংলগ্ন বরিশাল-ভোলা সড়কের পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-ছাত্রলীগ নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত, ক্যামিস্ট্রি বিভাগের রফিক হাওলাদার, লোকপ্রশাসন বিভাগের রুদ্র দেবনাথ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র প্রদীপ কান্তি। আহত সিফাত বলেন, রাজনৈতিক কোন্দলের জেরধরে আমার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার পিঠে আঘাত করে মোটরসাইকেলযোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। তাই তাৎক্ষণিক তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে আহত রফিক হাওলাদারের সহপাঠীরা জানায়, ক্যাম্পাসে মিছিল করাকে কেন্দ্র করে নেতৃত্বের দ্বন্ধের জেরধরে রফিক, রুদ্র ও প্রদীপের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ক্যাম্পাসের একটি সূত্রে জানা গেছে, সিফাতের ওপর হামলার ঘটনার পর তার অনুসারীরা ক্যাম্পাসে লাঠি নিয়ে নেমে পরে। এ সময় তাদের হামলায় রফিক হাওলাদার আহত হয়েছে। যদিও সিফাতের ওপর হামলার আগেই রফিক ও তার সহযোগিদের ওপর হামলা চালানোর দাবি করা হচ্ছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছেন, রোববার বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা রফিক ও ছাত্রলীগ নেতা সিফাতের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতন্ডা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জেরধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার হালদার বলেন, ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন। বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাসে যাই। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের কোনো কমিটি গঠণ করা হয়নি। তবে ছাত্রলীগের পক্ষে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে মিছিল ও সমাবেশ করে আসছেন।