তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই হলো বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ নেতা। যার ডাকে সারা দিয়ে সকল বাঙ্গালী ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে নাম লিখেছে।
তিনি বলেন,যে নেতার নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। সেই নেতাকে যারা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে তাদের এই বাংলায় কখনোই ঠাই দেওয়া হবে না। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছে, শহীদ হয়েছে, যাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। ব্যর্থ হয় নাই এবং ভবিষ্যতেও আর কেউ তা ব্যর্থ করতে পারবে না।
ডা: মুরাদ আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধী এবং খুনীদের এদেশে বিচার হয়েছে, সাজা হয়েছে। এদের যারা দোসর বা ষড়যন্ত্রকারী কোনো না কোনো দিন, এই ষড়যন্ত্রকারিরাও একসময় ধরা পড়বে। তাদের এই রহস্য উদঘাটন অবশ্যই হবে। ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। কারণ বঙ্গবন্ধুর নাম যখন এদেশ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল ঘাতক দল তখন তারা ভেবেছিল কোনোদিন আর এই নাম ফিরে আসবে না। কিন্তু তা হয়নি। ২১ বছর পর আবার ফিরে এসেছে। সোমবার ৯ই ডিসেম্বর সাঁথিয়া হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধার পতাকা উত্তোলন করে একটি বিজয় র্যালী বের করে সাঁথিয়া বাজার প্রদক্ষিণ করে।অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এস এম জামাল আহমেদ’র সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাড: শামসুল হক টুকু এমপি,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, পৌরসভার মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামানিক,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল লতিফ, জেলা তথ্য অফিসার ফরহাদ হোসেন,সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম হিরু, সহ-সভাপতি হাসান, রবিউল ইসলাম হিরু সহ আলো অনেকেই। এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সকল সদস্য ও আওয়ামীলীগের সর্বস্থরের নেতৃবৃন্দ।