বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো জনভিত্তি নেই। তারা জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে আছে। দেশে কিছুই নেই। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র, সুশাসন, বিচারব্যবস্থা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা- এর কোনটাই নেই। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই। আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। অবৈধ সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণভাবে গায়ের জোরে বন্দি করে রেখেছে। বন্দি করার মধ্য দিয়ে তারা শুধু দেশের একজন জনপ্রিয় নেত্রীকেই বন্দি করে রাখেনি, বরং তারা গোটা দেশ, গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা,ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও এক শ্বাসরুদ্ধকর বন্দীশালায় আটকে রেখেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র ফিরবে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ হবে, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ফিরে পাবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলালের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএম খায়রুল বাশারের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক এমপি লালু বলেন, বর্তমান সরকার জানে, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তাই তাকে মুক্তি দিচ্ছে না। আমরা তীব্র আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান- প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। নইলে জনগণের তীব্র ক্ষোভে ক্ষমতার মসনদ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। তাই দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আমাদের আর বসে থাকলে চলবে না, জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির নেতা রেজাউল করিম বাদশা, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদিন চাঁন, লাভলী রহমান, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান, মাহবুবর রহমান বকুল, এম আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, তৌহিদুল আলম মামুন, সহিদ উন নবী সালাম, শেখ তাহা উদ্দিন নাইন, এনামুল কাদির এনাম,ওমর ফারুক খান, মনিরুজ্জামান মনির, সাইদুজ্জামান শাকিল। বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড.সোলায়মান আলী, কাহালু উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন, শিবগজ্ঞ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক মাষ্টার, শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হাকিম, শহর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান শামিম, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম রাসেল মামুন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আকরাম হোসেন, বগুড়া জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এ বি এম মাজেদুর রহমান জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, বগুড়া জেলা শ্রমিকদলের নেতা আবদুর রহিম পিন্টু, সারিয়াকান্দী উপজেলা বিএনপির নেতা শাহাদৎ হোসেন পলটন, শহর ছাত্রদলের সভাপতি সৌরভ হাসান সিপলু প্রমুখ।