মৎস্য অভিযানে উদ্ধার হওয়া জাটকা মাছ সাধারণত এতিম ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। কিন্তু সেই মাছে ভাগ বসালেন এক কর্মকর্তা ও দুই কর্মচারী। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়।
জানা গেছে, বুধবার দিনভর উপজেলার নদ-নদীতে মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নৌযান থেকে প্রায় ১০ মণ জাটকা উদ্ধার করে। সেই জাটকা বিকেলে ৪ টায় কোস্টগার্ড রাঙ্গাবালী আউটপোস্ট কার্যালয়ে বিতরণ করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একাধিক কর্মচারী জানান, মৎস্য অভিযানে উদ্ধার হওয়ায় জাটকা বিতরণকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কথা বলে তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক ফেরদাউস হোসেন ও অফিস সহায়ক মেহেদী ফয়সাল প্রায় ২০ কেজি মাছ নিয়ে যায়। এছাড়া অভিযানে অংশ নেওয়া উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামও একটি ব্যাগে মাছ নিয়ে ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দেন।
নিজে মাছ নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না করে উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজের লোকের জন্য অল্প কিছু মাছ ফেরদাউস আনছে। তবে অতো বেশি না, অল্প মাছ নিছে।’ মাছ বিতরণকালীন উপস্থিত থাকা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নেছার উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের স্টাফ আসছিল। ওরা হয়তো কিছু মাছ চেয়ে নিচে, কিন্তু ওরা নিয়ে কি করছে তা বলতে পারবো না। বেশিরভাগ মাছ এতিমখানা ও পাবলিককে দেওয়া হয়েছে। তারা হয়তোবা পাবলিক হিসেবে চেয়ে নিছে লাইনে দাঁড়িয়ে। ওখানেতো যারা ছিল, সকলকেই মাছ দেওয়া হয়েছে। সকলকে ৪ পিস করে মাছ দিছে।’
কোস্টগার্ড রাঙ্গাবালী আউটপোস্টের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বিভিন্ন নৌযান থেকে ১০মণ মাছ আমরা উদ্ধার করা হয়েছে। গরীব-মিসকিনদের দেওয়া হয়েছে, তারা হয়তো সেখানে দাঁড়িয়ে এক দেড় কেজি নিছে হয়তো।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।’