রাত এলেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলরের একমাত্র সড়কটি যেন মানুষের চলার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ধ্যা থেকেই কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ সড়কের ছালাভরা নামক স্থানের ব্রীজের দুই পাশে শত শত গাড়ির সারি পড়ে যায়। সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত কালীগহ্জ ঝিনাইদহ ও যশোর সড়কে যানবাহন মহাসড়কে জ্যাপে পড়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা।
গত ৩ মাস আগে এই ব্রীজটি ভেঙে যায়। এরপর সেটি মেরামত না করেই ভাঙা ব্রীজের উপর লোহার একটি ব্রীজ স্থাপন করা হয়। মাটি দিয়ে উঁচু করা এবং রাস্তার পাশে জায়গা না থাকায় অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বড় বড় যানবাহন গুলোর। আর সন্ধ্যা হওয়ার পর যানবাহন গুলো ঝুঁকি নিয়ে পার হতে অনেক সময় লাগছে। এতে রাস্তার দুইপাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ছে। ঢাকাগামী পরিবহন গুলো অন্য সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে।
বুধবার থেকে ব্রীজটি নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ব্রীজে কাজ শুরু করেছে। ব্রীজের এক পাশ ভেঙ্গে ফেলছে অপর পাশ লোহার ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যে কারণে দু,পাশে যানবাহন আটকা পড়ছে। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ব্রিজের দু,পাশে দু,জন লাল কাপড় দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু সন্ধার পরে কেউ থাকে না বলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার রাস্তার পাশে মাটি দিয়ে বিকল্প রাস্তা ও তৈরি করা হয়নি। কিন্তু ব্রিজের নির্মান কাজ শুরু করেছে। এসনিতেই এই মহাসড়কটি অত্যান্ত ব্যাস্ততম সড়ক।
ঝিনাইদহ গামী শরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, তিনি যশোরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। যশোর থেকে ঝিনাইদহ ফেরার পথে তিনি এখানে আটকা পড়েন। ৩ ঘন্টা ধরে তিনি আটকা পড়ে আছেন। কখন রাস্তা পরিস্কার হবে তখন গাড়ি চলাচল করবে। শৈলকুপায় কর্মসংস্থান ব্যাংকে চাকরি করেন কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার এক যাত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার অফিস করে বাড়ি ফিরছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি শত শত গাড়ির লম্বা সারি। এই ব্রীজটি মেরামত করার ফলে যাতায়াত করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। খুলনা-কুষ্টিয়াগামী গড়াই পরিবহনের চালক সাইদুল ইসলাম বলেন, ব্রীজের এক পাশ অচল হয়ে পড়েছে দীর্ঘদিন। রাত এলে এই ব্রীজ পার হওয়া অনেক ঝুঁকি। তাই একপাশ দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।
বিশেষ করে বুধবার ধেকে ঠিকাদার কালীগঞ্জের ছালাভরা ব্রিজের নির্মান কাজ শুরু করার পর থেকে সন্ধা হলে ঢাকা খুলনা মহাসড়কটি এভাবে সড়ক চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বেশি সমস্যা হচ্ছে ঢাকাসহ দূর পাল্লার যাত্রিদের তারা বাসের মধ্যে বসে থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা। সন্ধার পর থেকে ঢাকা,দিনাজপুর,বগুড়া, রংপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন সড়কের যাত্রীবাহি বাস কালীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রায় ৪৫ কিলো মিটার ঘুরে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছে।
বারবাজার হাইওয়ে থানার ওসি মফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সেখানে হাইওয়ে থানার পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খুব দ্রুতই যানজট নিরসন হয়ে যাবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ কাজ করছে। অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।