পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বিজয় দিবস ও গত ১৮-২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশগ্রহন না করায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান। গত ২১ ডিসেম্বর প্রেরিত এ নোটিশে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কেন বিধি মোতাবেক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে না তা লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৬ডিসেম্বর বিজয় ডিসেম্বর অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ায় কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ, খেপুপাড়া নেছারুদ্দিন ফাযিল মাদ্রাসা, ইসমাইল তালুকদার টেকনিক্যাল বি এম কলেজ এন্ড কৃষি প্রযুক্তি ইনষ্টিটিউট, খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আবদুস সোবাহান সিকদার মডেল একাডেমি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশ না নেয়ায় কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, ইসমাইল তালুকদার টেকনিক্যাল বি এম কলেজ এন্ড কৃষি প্রযুক্তি ইনষ্টিটিউট, খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাখিমারা প্রফুল্ল ভৌমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লালুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধানখালী এম ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লোন্দা হাফিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরচাপলী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়,চাকামইয়া বেতমোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উত্তর লালুয়া ইউ সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,লালুয়া এসকেজেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুসুল্লিয়াবাদ এ কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচজুনিয়া ধানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধুলাসার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডালবুগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নুর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ধানখালী এস এইচ এন্ড আশ্রাফ একাডেমির প্রধান শিক্ষককে এ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইদুর রহমান নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, কলেজের পরীক্ষা শেষ হওয়ার কারনে ছাত্রীরা না থাকায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া হয়নি। এছাড়া এইচএসসি প্রথম বর্ষে বিজ্ঞান শাখার মাত্র দুই জন ছাত্রী থাকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশ নেয়নি।
আবদুস সোবাহান সিকদার মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক জানান, তারা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন কিন্তু প্রতিযোগীতায় অংশ নেননি। একইভাবে স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে নি বলে শিক্ষকরা জানান।
কলাপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামান খান জানান, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা সঠিক জবাব দিতে না পারলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেননা এ বছর কলাপাড়ার ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটিকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার বৈজ্ঝানিক মালামাল প্রদান করা হয়েছে। অথচ তারা মেলায় অংশ নেয়নি। এটা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এসডিজি-৪ বাস্তবায়নের অন্তরায় বলে তিনি জানান।