কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র, দীন, একাকীÑ কিš‘ উৎসবের দিনে মানুষ বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ।’
৩২৫ খ্রিস্টাব্দ হতে শুরু করে প্রতি বছর গোটা বিশ্বের খ্রিস্টবিশ্বাসীরা ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মতিথি পালন করে আসছেন। আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের বিবেচনায় খ্রিস্টের পুনরুত্থান উৎসবই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং ম-লীর শুরু থেকে যিশুখ্রিস্টের পুনরুত্থানপর্ব বা ইস্টারই সবচাইতে বড় পর্ব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে খ্রিস্টমাস বা বড়দিনটিই বেশি জাঁকজমক ও আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়। যিশুখ্রিস্টকে খ্রিস্টবিশ্বাসীরা মানবজাতির কাছে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত ত্রাণকর্তা বা মুক্তিদাতা বলে বিশ্বাস করে। তাই তাঁর জন্মদিন পালন তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
ঈশ্বরের আদেশ অমান্য করে পাপ করার ফলে মানুষের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে; ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার ফলে মানুষ পরস্পরের কাছ থেকেও বি”িছন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে তার নিজের অন্তরের পরিবেশও কলুষিত হয়ে পড়েছে। এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে সর্বত্র: মানুষের মাঝে যে ঘৃণা-বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, অমিল, দলাদলি, কলহ-বিবাদ, মারামারি, হানাহানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদি চলছে তাই এর প্রমাণ। গোটা পৃথিবীটাই হয়ে পড়েছে অশান্ত। এ পরি¯ি’তি থেকে মুক্তিলাভের জন্য মানুষ আজ ব্যাকুল। মানুষ চায় শান্তি; তার অন্তরের গভীরতম আকাক্সক্ষাই হ”েছ শান্তির জন্য। কিš‘ এই শান্তির পূর্বশর্ত হ”েছ ন্যায্যতা, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, ক্ষমা দেয়া-নেয়ার মাধ্যমে ভগ্ন সম্পর্কের নিরাময়, পুনর্মিলন ও সম্প্রীতি ¯’াপন করা। এ জন্যই যুগে যুগে প্রবক্তা ও মহর্ষিরা ভাবি ত্রাণকর্তাকে শান্তিরাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং মানুষের মনে তাঁকে বরণ করার প্রত্যাশা জাগিয়েছেন। প্রবক্তা যিশাইয়া যিশুখ্রিস্টের জন্মের প্রায় ৭৪০ বছর আগে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন : “একটি শিশু আমাদের জন্য আজ জন্ম নিয়েছেন, একটি পুত্রকে আমাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তাঁর স্কন্ধের ওপর ন্যস্ত রয়েছে সব কিছুর আধিপত্যভার। তাঁর নাম : ‘অনন্য মন্ত্রণাদাতা, শক্তিমান ঈশ্বর, শাশ্বত পিতা, শান্তিরাজ!’ এবার শুরু হবেৃ অন্তবিহীন শান্তির যুগ!ৃ ন্যায় ও ধর্মিষ্ঠতার ভিত্তিতে, আজ থেকে চিরকালের মতো।” (যিশাইয়া ৯:৬-৭) প্রবক্তা যিশাইয়া আরো বলেছিলেন, “শোন, কুমারী কন্যাটি হবে গর্ভবতী; সে এক পুত্র-সন্তানের জন্ম দেবে। একদিন সবাই তাঁকে ইম্মানুয়েল নামে ডাকবে (নামটির অর্থ হলো : ‘ঈশ্বর আমাদের সঙ্গেই আছেন”। (যিশাইয়া ৭:১৪) যিশুখ্রিস্টের মধ্যে এই ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন বলে খ্রিস্টানদের বিশ্বাস। যিশুর জন্মের আগে মহাদূত গাব্রিয়েল মারিয়ার নিকট দেখা দিয়ে বলেছিলেন, “ভয় পেয়ো না, মারিয়া! তুমি পরমেশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করেছো। শোন, গর্ভধারণ করে তুমি একটি পুত্রের জন্ম দেবে। তাঁর নাম রাখবে যিশু। তিনি মহান হয়ে উঠবেন, পরাৎপরের ছেলে বলে পরিচিত হবেন। প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে দান করবেন তাঁর পিতৃপুরুষ দাউদের সিংহাসন।” (লুক ১:৩০-৩২)।
বড়দিনের উৎসবমুখর দিনগুলোতে খ্রিস্টবিশ্বাসীরা যেসব বিষয় নিয়ে ধ্যানমগ্ন বা সমাহিত হয়ে থাকে তা নিম্নরূপ :
১. যিশু ত্রিব্যক্তি ঈশ্বরের দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি পাপে পতিত মানবজাতিকে পাপের দাসত্ব হতে মুক্ত করতে মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছেন। এ জন্য তাঁকে বলা হয় মসীহ বা ত্রাণকর্তা। ঈশ্বরের ছেলে (লুক ১:৩২) বলে তিনি ঈশ্বরকে পিতা বলে ডাকেন এবং তাঁর ওপর বিশ্বাসী মানুষকেও তিনি তা করতে শিক্ষা দেন। খ্রিস্টানদের শ্রেষ্ঠ প্রার্থনা বলে পরিচিত ‘প্রভুর প্রার্থনা’য় সন্তানসুলভ মনোভাব নিয়ে যিশু তাঁর আত্মিক বা রুহানি প্রেরণায় সঞ্জীবিত হয়ে ঈশ্বরকে পিতা বলে ডাকতে শিখিয়েছেন যাতে মানবপরিবারের সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোঁধ জন্ম নিতে পারে। যিশুর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে তাঁরই মনোভাব নিয়ে ঈশ্বরকে পিতা বলে ডাকার মধ্যে যে আনন্দ তা কেবল সেই আস্বাদন করতে পারে যে মনে-প্রাণে তা অনুশীলন করে। ২. যিশু ঈশ্বরের জীবনময় বাণী বা কালাম। যোহন তাঁর মঙ্গলসমাচারের শুরুতেই বলেন, “আদিতে ছিলেন বাণী; বাণী ছিলেন ঈশ্বরের সঙ্গে, বাণী ছিলেন ঈশ্বর। আদিতে তিনি ঈশ্বরের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁর দ্বারাই সবকিছু অস্তিত্ব পেয়েছিল এবং যা-কিছু অস্তিত্ব পেয়েছিল, তার কোনোকিছুই তাঁকে ছাড়া অস্তিত্ব পায়নি” (যোহন ১:১-৩)। শয়তান কর্তৃক পরীক্ষিত হওয়ার সময় যিশু বলেছেন, “শুধুমাত্র রুটি খেয়ে নয়, বরং ঈশ্বরের শ্রীমুখে উ”চারিত প্রতিটি বাণীকে সম্বল করেই মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়” (মথি ৪:৪)। যিশু আরো বলেন, “আমি আপনাদের সত্যি সত্যি বলছি, কেউ যদি আমার বাণী মেনে চলে, তবে তাকে কোনোদিন মৃত্যুর মুখ দেখতে হবে না” (যোহন ৮:৫১)। ৩. যিশু সত্য। তিনি বলেন, ‘আমিই সত্য’ (যোহন ১৫:৬)। সৎ বা ভালো যা-কিছু তার উৎস একমাত্র ঈশ্বর। আর একমাত্র সত্যই মানুষকে মুক্ত করতে পারে। “তোমরা যদি আমার বাণী পালনে নিষ্ঠাবান থাকো, তাহলেই তো তোমরা আমার যথার্থ শিস্য; তাহলেই তো সত্যকে তোমরা জানতে পারবে আর সত্য তখন তোমাদের স্বাধীন করে দেবে” (ঐ ৮:৩১-৩২)। বর্তমান সমাজে যে অন্যায়-অসত্য বিরাজ করছে তা কেবল সত্যের দ্বারাই নির্মূল করা সম্ভব। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানুষ কোনোদিন মিথ্যার দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে পারে না। কূটচাল, ধূর্ততা, বাকচাতুরী দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় ঠিকই কিš‘ প্রকৃত কল্যাণ বা মঙ্গল প্রতিষ্ঠা করতে হলে সত্যকে অনুসরণ করার কোনো বিকল্প নেই। আর এও তো সত্য যে, আজ পর্যন্ত জগতের ইতিহাসে যেসব ধর্মগুরু বা ধর্মপ্রবর্তক জন্মেছেন, তাঁরা সবাই অনেক ভালো ও মূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন এবং তা পালন করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিš‘ একমাত্র যিশুখ্রিস্টই বলতে পেরেছেন, ‘আমাকে অনুসরণ করো’ (মথি ১৯:২২), কেননা তিনি ‘সত্য’। ইহুদিদের দ্বারা অভিযুক্ত হয়ে রোমীয় শাসনকর্তা বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে যিশু দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, “সত্যের সপক্ষে যেন সাক্ষী দিতে পারি, এর জন্যই আমি জন্মেছি, এর জন্যই এই জগতে এসেছি। সত্যের মানুষ যারা, তারা প্রত্যেকেই আমার কথা শোনে” (যোহন ১৮:৩৭)। ৪. যিশুই জীবন। তিনি বলেন, ‘আমিই জীবন’ (যোহন ১৫:৬), “আমি এসেছি যাতে মানুষ জীবন পায়, পুরোপুরিভাবেই পায়!” (ঐ ১০:১০)। এখানে জীবন বলতে কোনো জৈবিক সত্তাকে বুঝায় না, বরং মানুষের মনুষ্যত্ব ও আত্মিক বা আধ্যাত্মিক জীবনকে বুঝায়, যার গুণে মানুষ অন্যান্য পশুপক্ষী বা জীবজš‘ হতে স্বতন্ত্র হয়। এই জীবনের উৎস ও ভিত্তি স্বয়ং ঈশ্বর। যিশু বলেন, “আমি আপনাদের সতি সত্যিই বলছি, যে আমার কথা শোনে আর, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁকে যে বিশ্বাসও করে, সে শাশ্বত জীবন পেয়েই গেছে। তাকে আর অপরাধীর মতো বিচারে দাঁড়াতে হবে না, বরং এর মধ্যেই সে মৃত্যু থেকে জীবনে উত্তীর্ণ হয়েছে” (যোহন ৫:২৪)। ৫. যিশু আলো। তিনি বলেন, “আমি জগতের আলো। যে আমার অনুসরণ করে, সে কখনো অন্ধকারে চলবে না; সে তো জীবনেরই আলো লাভ করবে।” (যোহন ৮:১২)। পাপ-পুণ্য, আলো-অন্ধকার ও ভালো-মন্দের দ্বন্দ্ব অনস্বীকার্য। অন্ধকারকে জয় করতে হলে আলো জ্বালতেই হবে। বর্তমান সময়ে তাই অনেককেই বলতে শোনা যায়, সমাজের তমসা দূরীভূত করতে হলে আলোকিত মানুষ দরকার। যে নিজেই অন্ধকারে বাস করছে সে কিভাবে অন্ধকার দূর করবে? ৬. যিশু খ্রিস্ট মহাযাজক। তিনি ঈশ্বর ও মানুষের মাঝে একমাত্র মধ্য¯’তাকারী। “আমরা তো পেয়েছি এক পরম মহাযাজককে, যিনি আকাশম-ল অতিক্রম করে গেছেন: তিনি ঈশ্বরপুত্র যিশু।ৃ আমরা এই যে মহাযাজককে পেয়েছি, তিনি আমাদের দুর্বলতার সমব্যথী হতে অক্ষম নন; বরং আমাদের মতোই তিনিও সব দিক দিয়ে পরীক্ষিত হয়েছেন, কিš‘থেকেছেন নিষ্পাপ।” (হিব্রু ৪:১৪-১৫)। “খ্রিস্টও তেমনি নিজেই নিজেকে মহাযাজক হবার গৌরবে ভূষিত করেননি; করেছেন তিনিই, যিনি তাকে বলেছিলেন: ‘তুমি আমার পুত্র; আমিই আজ তোমাকে জন্ম দিয়েছি !’ আবার আর এক জায়গায় তিনি বলেছেন: ‘যাজক তুমি চিরকালের মতো, মেলখিসেদেকের রীতি অনুসারে’।” (হিব্রু ৫:৫-৬)। “তিনি যাজক হয়েছেন দেহগত জন্মের কোনো নিয়মের জোরে নয় বরং অবিনশ্বর এক জীবনেরই শক্তিতে।” (প্রাগুক্ত ৭:১৬)। “ৃ মহাযাজকের পদে নিযুক্ত হয়েছেন যিনি, তিনি স্বয়ং পুত্র, যাঁকে পুণ্যতায় ম-িত করা হয়েছে চিরকালের মতোই।” (ঐ২৪-২৬ এবং ২৮গ পদ)। ৭. যিশু ভালোবাসা। “পরমেশ্বর জগতকে এতোই ভালোবেসেছেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্রকে তিনি দান করে দিয়েছেন, যাতে, যে- কেউ তাকে বিশ্বাস করে, তার যেন বিনাশ না হয়, বরং সে যেন লাভ করে শাশ্বত জীবন। পরমেশ্বর জগতকে দ-িত করতে তাঁর পুত্রকে এই জগতে পাঠাননি; পাঠিয়েছিলেন, যাতে তাঁর দ্বারা জগত পরিত্রাণ লাভ করে” (যোহন ৩:১৬-১৭)। “আমাদের প্রতি পরমেশ্বরের ভালোবাসা এতেই প্রকাশিত হয়েছে যে, তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে এই জগতে পাঠিয়েছিলেন, যাতে তাঁর দ্বারাই আমরা জীবন লাভ করি” (১ যোহন ৪:৯)। ৮. যিশু আনন্দ। যিশুর জন্মলগ্নে স্বর্গদূত বললেন, “আমি এক আনন্দের সংবাদ তোমাদের জানাতে এসেছি। এই আনন্দ জাতির সমস্ত মানুষের জন্যই সঞ্চিত হয়ে আছে” (লুক ২:১০)। বড়দিনের আনন্দ তখনই সার্থক হয় যখন আমরা শুধু মৌখিক প্রচারের মাধ্যমে নয়, বরং অপরের সঙ্গে সহভাগিতার মাধ্যমে তা প্রচার করি। যিশু বলেন, “পিতা যেমন আমাকে ভালোবেসেছেন, আমিও তেমনি তোমাদের ভালোবেসেছি। তোমরা আমার ভালোবাসার আশ্রয়ে থেকো। যদি আমার সমস্ত আদেশ পালন করো, তবেই তোমরা আমার ভালোবাসার আশ্রয়ে থাকবে, আমিও যেমন পিতার সমস্ত আদেশ পালন করেছি আর আছি তাঁর ভালোবাসার আশ্রয়ে। এসব কথা তোমাদের বললাম, যাতে আমার আনন্দ তোমাদের অন্তরে থাকতে পারে এবং তোমাদের আনন্দ যেন পরিপূর্ণ হতে পারে” (যোহন ১৫:৯-১১)। ৯. যিশু শান্তি। যিশু ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত ‘শান্তিরাজ’ (যিশাইয়া ৯:৬)। যিশুর জন্মের রাতে স্বর্গের দূতবাহিনী গেয়ে উঠেছিল: “জয় ঊর্ধ্বলোকে পরমেশ্বরের জয়! ইহলোকে নামুক শান্তি তার অনুগৃহীত মানবের অন্তরে” (লুক ২:১৪)। ঈশ্বর প্রদত্ত এই শান্তি অন্তরে গ্রহণ করলেই মানুষের মন থেকে সব রকম ঘৃণা-বিদ্বেষ দূর হতে পারে। যে সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষের একান্ত কাম্য তাই বড়দিন উৎসবের অন্যতম প্রধান আশীর্বাদ। মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের পরে শিস্যদের দেখা দিয়ে যিশু দুবার বলেছিলেন, “তোমাদের শান্তি হোক” (যোহন ২০:১৯-২১)। তবে যিশুর দেওয়া শান্তি আর মানুষের দেয়া শান্তির মধ্যে অনেক পার্থক্য। যিশু বলেন, “তোমাদের জন্য শান্তি রেখে যা”িছ, তোমাদের দিয়ে যা”িছ আমারই শান্তি; অবশ্য এ সংসার যেভাবে শান্তি দেয়, সেই ভাবে আমি তোমাদের তা দিয়ে যা”িছ না” (যোহন ১৪:২৭)।
আজকাল মুসলমানদের ঈদ ও হিন্দু বৌদ্ধদের পূজা-পার্বণের ন্যায় বড়দিন উৎসবও কেবলমাত্র খ্রিস্টানদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। অখ্রিস্টান প্রতিবেশী ভাইবোন এবং বন্ধুবান্ধবও বড়দিনের উৎসরে আমন্ত্রিত হন। সবার সঙ্গে বড়দিনের আনন্দ সহভাগিতা করার ফলে আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায়। বাংলাদেশে সকল ধর্মের লোকের মাঝে শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড়দিন উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমার দেশবাসী সকলের কাছে বড়দিনের শান্তি-শুভে”ছা জানা”িছ।
ফাদার বেঞ্জামিন কস্তা, অধ্যক্ষ, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা।