দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমে আসছে। সেই সাথে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে শীতের তীব্রতা। শনিবার উত্তরের এই জনপদে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার তা নেমে আসে চারের ঘরে। রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এটিই এই শীতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রা কম থাকছে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত। জানুয়ারিতে তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস রয়েছে।
তবে রোববার সকালটি শুরু হয় বেশ ঝলমলে রোদের আলোতেই। সকাল ৭ টায় সূর্যের দেখা মিলে। দীর্ঘদিন পর সূর্যের ঝলমলে রোদে ক্ষণিকের স্বস্তি ফিরে আসে জনমনে। রোদের আলোতে বসে উষ্ণতা নিচ্ছেন শীতার্ত মানুষরা। গত কয়েকদিনে সূর্যের আলো দেখা গেলেও তাতে তেমন উত্তাপ ছিল না। বিকেল গড়াতেই সূর্যের আলো মিলিয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত অসম্ভব ঠান্ডা অনুভূত হয়। এই সময়ে উত্তর থেকে বয়ে আসে ঠান্ডা বাতাস। এই সময় তাপমাত্রা শুন্যের দিকে নেমে আসে। শীতে পঞ্চগড়ে নিম্ন আয় ও শ্রমজীবী মানুষের একটা বিরাট অংশ দুর্ভোগে পড়েছেন। সকালে অনেকেই খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বেশির ভাগ রোগী শিশু ও বৃদ্ধ। প্রতিদিন শতাধিক রোগী বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গুরুতর অসুস্থ্যরাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।