অধিকাংশ ছাগল খামারির শুরুটা হয় দেশি ছাগল দিয়ে। এরপর খামারে যোগ হয় শংকরজাত অথবা বিদেশি উন্নত জাতের ছাগল। বড় জাতের ছাগলের চাহিদা বেশি ও দাম বেশি পাওয়ায় বর্তমানে গৃহস্থ ঘরেও শংকর জাতের ছাগল দেখা যায়। ঝিনাইদহ অঞ্চলের ছাগল পালনকারীদের শংকর জাতের ছাগল উৎপাদনে সহায়তা করছেন জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শ্রী সদানন্দ বিশ্বাস। সদানন্দ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের বেথুলি গ্রামে গড়ে তুলেছেন একটি উন্নত জাতের পাঠার খামার। তার খামারে তোতাপুরি, হরিয়ানা, যমুনা পারি ও দেশি উন্নত জাতে পাঠা আছে। উন্নত জাতের ছাগল তৈরী করতে তার খামারে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছাগী নিয়ে আসে ছাগল পালনকারীরা।
সদানন্দ জানান, তার খামারে অরিজিনাল হরিয়ানা জাতের ১ টি, হরিয়ানা শংকর জাতের ২টি, অরিজিনাল তোতাপুরি ২টি, ১টি শংকর জাতের যমুনাপারি ও ১টি দেশি উন্নত জাতের পাঠা রয়েছে। তিনি তোতাপুরি পাঠার বীজ পাঁচ’শ টাকায়, ৩’শ টাকায় অরিজিনাল হরিয়ানা, ২’শ টাকায় শংকর জাতের হরিয়ানা,যমুনা পারি জাতের বীজ ৩’শ টাকায়, দেশি উন্নত জাতের বীজ ১’শ টাকায় বিক্রি করেন। এতে সিজেনে তার প্রতিদিন ৭ থেকে আট হাজার টাকা আয় হয়। তিনি বলেন, একটু বড় আকারের দেশি ছাগী যদি তার খামারে এনে বিভিন্ন জাতের পাঠার বীজ নিয়ে যায়, তাহলে যে ছাগল জন্ম নিবে তা অধিক মূল্যে বিক্রি করতে পারবে। উদাহরণ স্বরুপ তিনি বলেন একটি শংকর জাতের তোতাপুরি বাচ্চা দুধ ছেড়ে দেয়ার পর কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা, যমুনাপারি ও হরিয়ানা কমপক্ষে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা যায়। এতে অল্প পুঁজির খামারিরা লাভবান হচ্ছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আতিকুজ্জামান ছাগল পালনে লাভবান হতে হলে দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন করার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, একটি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বছরে দুই বার বাচ্চা দেয়। একেক বারে দুই এর অধিক বাচ্চা দেয়। শংকর জাতের ছাগল উৎপাদনের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, দেশি ছাগল ও বিদেশি উন্নত জাতের পাঠার ক্রসে উৎপাদিত শংকর জাতের ছাগল বড় সাইজের হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি ছাগী ৩ বারের অধিক গর্ভধারণ করতে পারেনা। এতে খামারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।