মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে সেট্রাক করে মারা গেছেন চাটমোহরের মঙ্গল দাস (২৬)। পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের কুবিরদিয়ার দাসপাড়া গ্রামের সন্তোষ দাসের ছেলে মঙ্গল কুমার দাস বিদেশ পাড়ি জমিয়েছিলো পরিবারের সবার মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য,নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হবে। কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণ হলো না তার। গত বুধবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোররাতে স্ট্রোক করে মৃত্যু বরণ করে সে। মঙ্গল দাসের মৃত্যুর সংবাদ বুধবার সকালে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে পরিবারে শুরু হয় শোকের মাতম। তার এই অসময়ে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না স্বজন-প্রতিবেশীরা।
নিহত মঙ্গল দাসের বড় ভাই রাজু দাস জানান,ধার-দেনা করে প্রায় দেড় বছর আগে আমরা তাকে মালয়েশিয়ায় পাঠাই। তার আয়ে সংসারে ফিরেছিল স্বচ্ছলতা। কিন্তু তার এই মৃত্যুর কারণে সব শেষ হয়ে গেল। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ১শ’ কিলোমিটার দূরে সিলেঙ্গার জেলার জালান কাপফার এলাকার লিনহু নামের একটি কাঠের কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সাথে ফোনে কথা বলে অনেক রাতে ঘুমাতে যায় মঙ্গল। সকালে সে বিছানা থেকে না উঠলে সহকর্মীরা তার রুমে গিয়ে বিছানায় মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। তারা জানিয়েছে,হয়তো ঘুমের মধ্যেই রাতের কোনো একসময় সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। ৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে সে ছিল চতুর্থ। মরদেহ দেশে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে নিহতের পরিবার। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান জানান, পরিবারের সাথে কথা বলে মালয়েশিয়ায় নিহত মঙ্গল দাসের মরদেহ যাতে দ্রুত দেশে আনা যায় সে বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে আমরা চেষ্টা করব। এ ছাড়া সরকারি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারটির পাশে দাঁড়াবে প্রশাসন।