শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয়ে দিনভরের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জীবিকার টানে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলাসহ জেলার উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাবুগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় দিনভর বৃষ্টি হচ্ছে। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে এমন বৃষ্টি শীতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার এমনিতেই ছুটির দিন, এর ওপর বৃষ্টি! যে কারণে সকালে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল খুবই কম। বিভাগীয় শহর বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম সদর রোডে অন্যান্য দিনের চেয়ে খুবই কম ছিল সবধরনের যানবাহনের সংখ্যা। একাধিক ইজিবাইক চালকরা জানান, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে কোনো যাত্রীর দেখা নেই। পোর্ট রোড বাজারের সবজি বিক্রেতা বাবুল সিকদার জানান, সপ্তাহের অন্য শুক্রবার এমন সময় ক্রেতাদের ভিড়ে দম ফেলার সময় থাকেনা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে কোনো ক্রেতার দেখা নেই। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে শীতও কিছুটা বেড়েছে।
এবার পৌষের শুরু থেকেই তীব্রভাবে জেঁকে বসেছিল শীত। তবে গত কয়েকদিন সূর্য ওঠায় শীত অনেকটাই কমেছিল। শুক্রবার সকালের বৃষ্টি এ পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। ফের বাড়তে শুরু করেছে শীত। যা সামনে আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসেই সারাদেশে দুটি তীব্র ও একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসবে। ৩ জানুয়ারির পর থেকে দেশের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। মাসের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মাসের শেষদিকে আবারও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওযার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কনকনে শীত অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে।
তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলতে রাতের তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে। ছয় থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং আট থেকে ১০ ডিগ্রি হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।