লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নুতন নিয়োগপ্রাপ্ত ১২ জন ডাক্তার যোগদান করেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে ডাক্তার সঙ্কটের কারণে দুর্ভোগে ছিলো এ উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এমপি ড. আনোয়ার হোসেন খানের একান্ত প্রচেষ্টায় একযোগে এতো সংখ্যক ডাক্তার প্রাপ্তিতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এতে গরিব-অসহায় রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধিসহ সুচিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে স্থানীয়রা আশা করছেন।
জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ৩১ শয্যা বিশিষ্ট রামগঞ্জ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। জনবল কাঠামো অনুসারে ১৯ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে মাত্র পাঁচ জন চিকিৎসক অক্লান্ত পরিশ্রমে ইনডোর-আউটডোর রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগ ডাক্তার পদে নুতন নিয়োগ দেয়ায় লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খানের প্রচেষ্টায় ১২ জন এমবিবিএস ডাক্তার ও ৮ জন পরিচ্চন্নকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়।এতে হাসপাতালের ডাক্তার সঙ্কটের অবসান হওয়ায় দূর-দুরান্ত থেকে আগত শিশু, মহিলাসহ সব ধরনের রোগীরা সরকারের দেয়া সুচিকিৎসার সুফল ভোগ করতে পারছেন। গরিব রোগীরা ২৪ ঘণ্টা সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসও পাচ্ছেন।
রামগঞ্জ হাসপাতালে যেসব নুতন ডাক্তার যোগদান করেছেন, তারা হলেন, ডা. আজুমান সাবিহা, ডা. আবু মোহাম্মদ হাসান, ডা. ফরহাদুল কাদের, ডা. সামীর মোহাম্মদ তাসরিফ, ডা. মেহরাব হাসান মজুমদার, ডা. শারমিন ইসলাম, ডা. এমদাদুল হক, ডা. সালমা নাছরিন মিতু, ডা. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ডা. এমরান হোসেন, ডা. গিয়াস উদ্দিন খান ও ডা. আনোয়ার হোসেন।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুণময় পোদ্দার জানান, এমপি মহোদয় রামগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবায় সুদৃষ্টি দেয়ায় পুরাতন ও নুতন নিয়োগপ্রাপ্ত মিলে ১৭ জন ডাক্তার হাসপাতালে কর্মরত। এমপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় একযোগে ১২ জন ডাক্তার নিয়োগ ও ৮ জন পরিচ্ছন্নকর্মী এবং একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স পেয়েছি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে। গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গরিবের স্বাস্থ্যসেবার কথা চিন্তা করে প্রচুর ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছেন। রামগঞ্জে দীর্ঘদিন ডাক্তার সঙ্কট থাকায় জনস্বার্থে আমি মন্ত্রণালয়ে তদবির করে ১২ জন চিকিৎসক পেয়েছি। এখন ৫০ শয্যার অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করছি।