নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আসলাম গাজী (৪৪) নিহতের ঘটনায় প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, আসলাম গাজী হত্যাকান্ডের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাদশা গাজী ও ইদ্রিস গাজীর নেতৃত্বে তাদের লোকজন বুধবার রাতে প্রতিপক্ষ বাবুল শেখের দু’টি পাকাঘর ভাংচুর করে। পাশাপাশি সাতটি গরু ও অনেক হাঁস-মুরগি লুটে নেয়। প্রতিপক্ষের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পরিবারের ১৫ সদস্য অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনিসুর রহমানের মুদি দোকান লুটপাট করে তারা। দোকানে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মালামাল ছিল।
এদিকে শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাবুল শেখের পাকাঘরের ইট, জানালা, দরজা, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ভেঙ্গে চুরমার করা হয়েছে। ঘরে বসবাসের অবস্থা নেই। সুনশান নিরবতা বিরাজ করছে। প্রতিবেশিরা জানান, বুধবার রাতে ব্যাপক ভাঙচুরের শব্দ শুনে তারা আতঙ্কে উঠেন। ভয়ে এগিয়ে আসার সাহস হয়নি তাদের। অন্যদিকে আনিসুরের বোন কাজল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঙচুরের এ বিষয়টি কালিয়া থানার ওসিকে অবগত করতে গেলে তিনি কাজলের সঙ্গে চরম দুর্বব্যহার করেন বলে অভিযোগ তার। এছাড়া তাকে থানা থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেন কাজল।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাদশা ও ইদ্রিস গাজী দাবি করে বলেন, আমরা কোনো বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেনি। নিজেরা ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। কালিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বাড়িঘর ভাঙচুরের কথা স্বীকার করলেও লুটপাটের কথা অস্বীকার করেন। এছাড়া আনিসের বোন কাজলের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি সকালে খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আসলাম গাজী নিহত এবং উভয়পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হন। হন। এ ঘটনায় নিহত আসলামের ভাই ইসমাঈল গাজী বাদি হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে কালিয়া থানায় মামলা দায়েরন করেন।
স্থানীয়রা জানান, কালিয়ার চালিতাতলা গ্রামের কাদের মোল্যা ও ইদ্রিস গাজী সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্যের লড়াই চলে আসছে। নিহত আসলাম ইদ্রিস গাজীর ছেলে।