চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল ও সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে নার্স নির্ভর চিকিৎসা সেবা। এরমধ্যে প্রায় সময়ই শেবাচিমে অনুমোদিত বেডের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকে।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২২৪টি পদের অনুকূলে এখানে কর্মরত আছেন ৯৬ জন চিকিৎসক। এরমধ্যে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি, কার্ডিওলজিসহ ৩৩টি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্র্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় ভেঙে পরেছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়; চতুর্থ শ্রেণির ৪২৬টি পদের মধ্যে প্রায় ১৩৫টি পদই শূন্য রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা জানান, মাঝেমধ্যে চিকিৎসকরা আসলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের (রোগী) নার্স নির্ভর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
শেবাচিমের পরিচালক ডাঃ মো. বাকির হোসেন জানান, ধারণক্ষমতার তিন-চার গুণ বেশি রোগী নিয়ে তাদেরকে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। মেডিকেল কলেজের অধীন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, কিউরেটর পদে ২০৫ জনের স্থলে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১১৫ জন। বিডিএস সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকের ২২টি পদে কর্মরত রয়েছেন মাত্র একজন। এছাড়াও দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ৫৯ জনের স্থলে কর্মরত আছেন ৩৮ জন। চতুর্থ শ্রেণির ১৪১টি পদের অনুকূলে কর্মরত রয়েছে ৮১ জন।
অপরদিকে বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালে ৩৩টি পদের অনুকূলে কর্মরত রয়েছেন ২৩জন চিকিৎসক। এ হাসপাতালের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ১০০ বেডের এ হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির ৪২টি পদের অনুকূলে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১৮জন। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন এ হাসপাতালটিতে শিশুবিশেষজ্ঞ না থাকায় চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চোখের চিকিৎসা, কার্ডিওলজি, অর্থপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় এসব সেবাও বন্ধ রয়েছে।