পিরোজপুরের নাজিরপুরে গতকাল শনিবার ১১ জানুয়ারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঢিলেঢালাভাবে মুজিব বর্ষ পালন করা হয়েছে। এতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি বিরূপ প্রতিক্রীয়া ব্যাক্ত করেছেন। এ দিবসটি উপলক্ষে ওই দিন (শনিবার) সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নামমাত্র একটি র্যালী বের হয়। র্যালীতে উপস্থিতি ছিলো খুবই সামান্য। ছিলো না কোন ঝাঁক জমকতা। যেন দায় সারা ভাবে পালন করা হয়েছে। উপজেলা মানবাধীকার কমিশনের সভাপতি ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ পালন আমাদের জন্য গর্ব ও অহংকারের বিষয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীর পিতা। কিন্তু দিনটি পালনের শুরুতে উপজেলা প্রশাসন যে ভাবে র্যালী করেছে তাতে দিনটিকে রীতিমতো অবজ্ঞা করা হয়েছে। জানি না তিনি কোন পরিবার থেকে এসেছেন ? এমনভাবে দিবসটি পালনে আমি আজন্ম আ’লীগ হিসাবে তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি আরো জানান, সরকারী ভাবেই ২০২০ সাল মুজিববর্ষ। কিন্তু এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় নি কোন পূর্ব প্রস্তুতি বা করা হয় নি কোন উদযাপন কমিটিও। উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও সমকাল প্রতিনিধি মো. ফিরোজ মাহামুদ তালুকদার জানান, মুজিব বর্ষের কর্মসূচী উপলক্ষে মিডিয়ার কাছে কোন চিঠি দেয়া হয় নি। এমন কি ১১ জানুয়ারী, শনিবার কর্মসুচীর কোন তথ্য আমাদের কাছে জানানো হয় নি। উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খান জানান, এ ব্যাপারে কোন আলোচনা বা প্রস্তুতি কমিটি হয় নি। নির্বাহী কর্মকর্তা রোজী আক্তার আমাদেরকে কোন তথ্যও জানান নি। শনিবার সকাল ১০টায় নামমাত্র ও দায়সারাভাবে একটি র্যালী করেছেন। বিষয়টি খুবই কষ্ট দায়ক। উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম খোকন কাজী জানান, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়েজিত র্যালীটি খুবই সামান্য। র্যালীটিতে ছিলো না কোন ঝাঁক-জমকতা ও লোক-জনের উপস্থিতি। বিষয়টি আমার কাছে খুবই কষ্ট দায়ক ও অপমান জনক মনে হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের উপজেলা সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু জানান, জাতীর জনকের জন্ম শতবার্ষিকী পালনের এ দিনটি ঝাঁক-জমক ভাবে পালন করা উচিত ছিলো। কিন্তু আমার এখানে দু:খ পাওয়া ছাড়া কিছু করার নাই। এ ব্যাপারে কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজী আক্তারের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। তার সরকারী মুঠো ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে একাধীকবার তার ব্যাক্তিগত মুঠো ফোনে ফোন দিলে এ ব্যাপারে পরে সামনা সামনি (মুখো-মুখি) কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।