নড়াইলের লোহাগড়ার ৯৫ নং টি চরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থী ধর্মঘট। জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার ৯৫ নং টি চরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩০।
গত ১ জানুয়ারি সকালে শিক্ষার্থীদের বই দেবার সময় দুমাস অসুস্থ থাকায় দু বিষয়ে ফেল করা এক শিশুকে চতুর্থ শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করবার জন্য অভিভাবক অনুরোধ করলে প্রধান শিক্ষক শামীম আরা বলে ওঠেন ”সভাপতির বাপের ক্ষমতা নাই,আপনার সন্তানকে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করে বই দেবে”। একথা শুনে সকলে বিস্মিত হয়ে পড়েন। মঞ্চ থেকে নেমে আসেন সভাপতি। পরে সহকারী শিক্ষকরা দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে নিয়ে বই বিতরণ করেন। ২ জানুয়রি ওই বিদ্যালয়ে ডিবি পুলিশ গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য শোনে।
শুক্রবার(১০ জানুয়ারি) সকালে নড়াইল পুলিশ কালনাঘাট থেকে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হেমায়েত হোসেনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে দুপুর ১টার দিকে বক্তব্য নেবার পরে পুলিশ হেমায়েত হোসেনকে ছেড়ে দেয়। সভাপতিকে আটকের পরের দিন শনিবার(১১ জানুয়ারি) থেকে ধর্মঘট চলছে শিক্ষার্থীদের।
প্রধান শিক্ষক শামীম আরা বলেন,আমি সভাপতির দাদা তুলে কথা বলেছি,বাপ তুলে নয়। সভাপতি হেমায়েত হোসেন মোল্যা বলেন, প্রধান শিক্ষক আমার বাপ তুলে কথা বলেছেন। প্রধান শিক্ষক এসপি সাহেবের নিকট অভিযোগ দিয়ে পুলিশ দিয়ে আমাকে আটক করিয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ধর্মঘট করেছে।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নূপুর অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক ঠিকমতো পড়ান না। মারপিট করেন। অভিভাবক শহর আলী অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক শিশুদের নির্যাতন করেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান বলেন, সভাপতিকে পুলিশে আটকের কথাও শুনেছি। ধর্মঘটের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। নড়াইলের পুলিশ সুপার(এসপি) জসীম উদ্দিন পিপিএম(বার) বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বক্তব্য নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।