‘চুঙ্গাপুড়া’ উৎসব জকিগঞ্জকে আলাদা পরিচয়ে পরিচিত করে আসছে বরাবরই। চুঙ্গায় যেন স্থানীয়রা অনুভব করেন মাটির মায়া গ্রামের ঘ্রাণ। একসময় জকিগঞ্জের ঘরে ঘরে আয়োজন করা হতো এ উৎসবের। কালের বিবর্তনে এ অনুষ্ঠান হারিয়ে যেতে বসেছে। গত শনিবার রাতে জকিগঞ্জের ঐতিহাসিক ডাক বাংলো প্রাঙ্গণে হয়ে গেল সিলেটীদের ব্যতিক্রমধর্মী প্রাণের উৎসব চুঙ্গাপুড়া। সকাল থেকেই ভিজিয়ে রাখা হয় বিরুইন চাল। তারপর নরম চাল ঢলুবাঁশের টুকরায় ঢুকানো হয়। খেড় দিয়ে বাঁশের মুখ বন্ধ করে ইটের উপর কলাগাছ বসিয়ে তার উপরে চাল ভর্তি বাঁেশর উপরে নিচে দেওয়া হয় খড়কুটার আগুন। নির্দিষ্ট সময়ে তৈরি হয়ে যায় সুস্বাদু মুখরোচক চুঙ্গাপিঠা। তারপর ভোনা গরুর মাংস দিয়ে তা ভোজন করা হয় সানন্দ আলাপচারিতা আর আনন্দ আডাডায়। জকিগঞ্জ শহরের পরিচিত মুখ সংগঠক রাজনীতিবিদ এমএজি বাবরের সভাপতিত্বে চুঙ্গাপুড়া উৎসবে অংশ নেন পৌর মেয়র হাজি মো.খলিল উদ্দিন। বাবর হোসেইন চৌধুরীর সঞ্চালনায় উৎসবে শীতের পিঠা চুঙ্গা পরিবেষণ করার পূর্বে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজি শামসুদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ সালাম, উৎসব আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবাসী ফজলুর রহমান, প্রবাসী জামাল আহমদ, সাবেক কাউন্সিলর মইনুল হক রাজু, সাংবাদিক আল মামুন প্রমুখ। চুঙ্গাপুড়া উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ প্রবাসী ঐক্য পরিষদের সভাপতি সলিম আহমদ চৌধুরী, কবি হাবিবুল্লাহ মিছবাহ, । চুঙ্গাপুড়া উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করেন এএম জাকির হোসেন, নজমুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ, মখলিছুর রহমান, সাংবাদিক এনামুল হক মুন্না, আহমদ মনসুর আলম, শামীম আহমদ, শাহীন আহমদ প্রমুখ। বক্তারা প্রতি বছরই ঐতিহ্যবাহী এ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।