ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গতকাল রোববার দুপুরে হাজেরা খাতুন (৮০) নামে বৃদ্ধ মাকে গোয়ালঘরে রাখা অভিযোগে ছেলে আব্দুস সাত্তার (৫০) ও নাতী উজ্জল (৩০) কে আটক করেছে থানা পুলিশ। এদিকে বৃদ্ধ মা হাজেরা খাতুন তার ছেলে ও নাতী বিরুদ্ধে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জানা যায়, উপজেলার উথুরী গ্রাম থেকে দুপুর আড়াইটায় দিকে আব্দুস সাত্তার ও উজ্জলকে আটক করে গফরগাঁও থানায় নিয়ে আসেন এস আই নাজিম উদ্দিন। আব্দুস সাত্তার ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিক অভিযোগ করে থানায় ফোন করে জানান, আব্দুস সাত্তার তার পরিবারের লোকজন বৃদ্ধ হাজেরা খাতুনকে বসতঘরে না রেখে গোয়ালঘরে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেন। এ অভিযোগে ভিত্তিতে এস আই নাজিম উদ্দিন ছেলে আব্দুস সাত্তার ও নাতী উজ্জল কে আটক করে। এদিকে ছেলেকে আটকের খবর পেয়ে বৃদ্ধ মা হাজেরা খাতুন, পুত্রবধূ রমিজা খাতুন ও নাতী লিয়াকত আলীকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে তার ছেলে আব্দুস সাত্তার ও নাতী উজ্জলকে ছেড়ে দেওয়া জন্য অনুনয়বিনয় করেন। বৃদ্ধ হজেরা খাতুনকে অস্পষ্ট স্বরে শুনতে শোনা যায় তার বড় ছেলে আব্দুস সাত্তারই তার দেখাশুনা ও ভোরন পোষণ করেন। পুলিশ কেন তার ছেলে সাত্তারকে ধরে নিয়ে আসলো।
বৃদ্ধ মা হাজেরা খাতুনের পুত্রবধূ ছেলে সাত্তারের স্ত্রী রমিজা খাতুন জানান, আমার শাশুরীর চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে আমরা ভোরন-পোষণ সহ সেবাযতœ করি। থানা পুলিশ কেন আমার স্বামী ও ছেলেকে আটক করে নিয়ে আসলো।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার জানায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।