কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সিংপুর বাজার সহ তিনটি গ্রাম ধনু নদীর ভাঙ্গনের ফলে দুই থেকে তিন শতক গ্রামবাসী অন্যত্র চলে গেছেন। এই নদী ভাঙ্গনটি গত ৩৩ বছর ধরে হয়ে আসছে। সিংপুর বিশাল বাজারটি এখন ভাঙ্গনের ফলে সিংপুর মানচিত্র থেকে একেবারে ছোট হয়ে আসছে। পাকিস্তান আমলে এ বাজারে পৌষ সংক্রান্তিতে বিশালাকার বাজারে বিশাল মেলা হতো। এখন আর সেই দিন নেই। নদী ভাঙ্গনের ফলে মেলাও ছোট হয়ে আসছে এবং এর ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার সরেজমিন গেলে গ্রামবাসী ও বাজারের কয়েশ জনতা জানান গত ২০০০ সন হতে ধনু নদীর ভাঙ্গন তীব্র হতে তীব্রতর হয়ে আসছে। এই এলাকার একটি মসজিদ ও হুমকির মুখে। ৩৩ বছরে অনেকে বাড়ী ঘর হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ইউপি নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের সময় অনেক প্রার্থী প্রতিজ্ঞা করে যায় তারা পাস করলে এই ইউনিয়নকে উন্নয়নের রোল মডেল করবে। পাস করার পর তাদের কোন মুখ দেখা যায় না। যেটুকু উন্নয়ন হয়, সেইটুকু আবার দৃঢ় গতিতে। ১০ বছর পর নতুনভাবে প্রতিরক্ষা দেওয়ালের জন্য এই গ্রামের পাস দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মাটি কাটা শুরু হয়েছে। কবে শেষ হবে কেউ জানেনা। এছাড়া গ্রামের বড় মসজিদটি এখন ধনু নদীর ভাঙ্গনের কবলে পরার উপক্রম হচ্ছে। সিংপুর ইউনিয়ন বাজারের ইজারাদার সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী এ সংবাদদাতাকে জানান বছরে একবার এই মেলা ২/৩দিনের জন্য বসে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে তাদের আনন্দ ঈদের মত। কেহ কেহ নতুন জামাই, আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ঈদের মত মিলন মেলায় বসে। তিনি বলেন, ধনু নদীর ভাঙ্গন যদি না হতো এর আনন্দ আরও বেশি হতো। এই বিষয়ে গ্রামের মানুষের আবেদন সিংপুর ইউনিয়নকে ভাঙ্গন থেকে বাচিয়ে রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি ভেবে দেখবেন কি?