স্কুল-কলেজ সময়ে কোচিং বন্ধ করায় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে (পিপিএম বার) ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ও জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কলেজ চত্বরে পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।
ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মীম, সাধারণ সম্পাদক রকিবুজ্জামান পলাশসহ নেতৃবৃন্দ পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন কলেজ চত্বর ঘুরে দেখেন এবং ক্লাসে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি বাড়াতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, আওয়ামী লীগ নেতা দেবাশিস কুন্ডু মিটুল, সাইফুল ইসলাম বাবু, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রাশেদ প্রমুখ। ভিক্টোরিয়া কলেজ চত্বর ঘুরে দেখেন
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মীম বলেন, গত রোববার (১২ জানুয়ারি) নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে গিয়ে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি দেখে হতাশ হই। প্রতিটি ক্লাসে ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, স্কুল-কলেজ চলাকালীন সময়ে জেলা শহরসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে কোচিং সেন্টারগুলো চালু থাকায় সেখানে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। একটি ক্লাসে ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকেও পাওয়া যাচ্ছে না। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির এ করুণদশা দেখে কয়েকজন শিক্ষক ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলি। সবাই একটি বিষয়ে মতো প্রকাশ করেন-ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে কোচিং বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। বিষয়টি গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন স্যারকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি কোচিং বন্ধে যথাযথ ভূমিকা পালন করেন। এরই ফলশ্রুতিতে আজ (গতকাল) থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে আরো উপস্থিতি বাড়বে। কোচিং বন্ধ ও স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীর যথাযথ উপস্থিতির ব্যাপারে আমরা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছি। অন্ততপক্ষে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত যেন কোচিং বন্ধ থাকে এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
এদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে স্কুল-কলেজ সময়ে কোচিং বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিভাবকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় নড়াইলের পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সবাই।