ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতাকে মারধর, হাতুরি পেটা ও চাঁদা দাবীর মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিলনসহ যুব ও ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন (৩৬), সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু(২৯), যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম (৪০), সুমন (৩৪), মামুন খান (৩৫) ও কামাল (৩৪)। বুধবার গভীর রাতে (মঙ্গলবার দিবাগত রাত) শহরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়। ঝালকাঠি পৌর এলাকার ১নং চাঁদকাঠি ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আবুল কালাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে জানাগেছে, ৫লাখ টাকা ধার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ তালবাহানা করে পরিশোধ করে নি সৈয়দ মিলন। পরে ধার নেয়া টাকা পরিশোধ না করে মাসে ৫০হাজার টাকা কিস্তিতে চাঁদার টাকা পরিশোধের ঘোষণা দেয়। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা সালিস মিমাংসার কথা বলে। গত ৫ জানুয়ারি এলজিইডির সামনে সৈয়দ মিলনের নেতৃত্বে ৭/৮ জনে হামলা ও মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ সময় সাথে থাকা মোবাইল, টাকাসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে চাঁদার টাকা নেয়ার ঘোষণা দেয় হামলাকারীরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় কালাম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সদর থানার ওসি ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, মামলার আসামি হিসেবে আটকের অভিযান চালিয়ে ডাক্তার পট্টির বাসা থেকে সৈয়দ মিলনকে আটক করা হয়। এ সময় তার শয়ন কক্ষ থেকে ১২ টি ধারালো দেশীয় রামদা, ৪টি জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাসা থেকে সাইফুল, মামুন, সুমন, কামালকে আটক করা হয়। এছাড়াও সৈয়দ মিলনের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির মামলা ও অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তার নামে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান ওসি। উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সৈয়দ মিলনের সমর্থকদের অবস্থান নেয়া সংলগ্ন স্থান থেকে রামদা, জিআই পাইপসহ ৯৫ পিস দেশীয় অস্ত্র পরিত্যক্ত উদ্ধ্ার করা হয়েছিলো।