ঝালকাঠির রাজাপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিষখালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে অর্থদন্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে ৩ জনকে ১ বছর ও ১ জনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. সোহাগ হাওলাদার। বালু উত্তোলনের দায়ে উপজেলার কৈবর্তখালী গ্রামের জলিল সিকদার (৪২), দক্ষিণ বড়ইয়া গ্রামের শুক্কুর খান (২৫) ও পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠী উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মাহাবুব বাহাদুর (৩৯) ও কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস আহরনের দায়ে নলছিটি উপজেলার রাজাবাড়িয়া এলাকার জয়নাল আকনের ছেলে শহিদ আকন (৫৫) সাজা দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টায় উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের বিষখালী নদীতে অভিযান চালিয়ে ৩জন বালু শ্রমিককে বালু উত্তোলনের সময় আটক করা হয় এবং ২ টি বালু উত্তোলনের ড্রেজার ও ২ টি বালু বহনকারী ভলগেট জব্দ করা হয়।
অভিযান চলাকালে শহিদ আকন নামে এক জেলেকে নদীতে অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ আহরোনের দায়ে আটক করা হয়। এ সময়ে নদী থেকে জব্দকৃত ৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ১ হাজার মিটার সিনথেটিক নাইলন ফাইবারের তৈরি মনোফিলামেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
এছাড়াও বুধবার (১৫ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ জনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে একই ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরা হলেন উপজেলার পুখরীজনা এলাকার জুলফিকার শরীফের ছেলে মো. রাজিব শরীফ (১৮), আবুবকর শরীফের ছেলে কামাল শরীফ (৪০) ও ঝালকাঠি দপদপিয়া গ্রামের মৃত আশ্রাব আলী হাং ছেলে জসিম হাওলাদার (৪০)।
এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. সোহাগ হাওলাদার জানান, যেহেতু বিষখালী নদী ঝালকাঠি জেলার ৫৫ কিলোমিটার অংশে কোনো বালু মহাল নেই কাজেই জেলার যেখান থেকেই বালু উত্তোলন করা হোক তাই অবৈধ। আমারা প্রতিনিয়ত এ অবৈধ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছি। এর আগেও এই নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীদের ধরে জেল জরিমানা করা হয়েছে। আজ জব্দকৃত ২ টি বালু উত্তোলনের ড্রেজার ও ২ টি বালু বহনকারী ভলগেট আংশিক ধ্বংস করে নিলামে তোলা হবে। তবে এটা বন্ধ করতে হলে জনগনকে আরো সচেতন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।