কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রতিবাদে নাঙ্গলকোটে প্রায় অর্ধশত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেবা বর্জন করেছেন। গতকাল শুক্রবার নাঙ্গলকোট জেনারেল হাসপাতাল, আল্ট্রা মডার্ণ, মেডিকেল সেন্টার, নোভা, আধুনিক, ট্রমা, ডক্টস ল্যাব, উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজারের আস শিফা ও হলি ফ্লাওয়ার হাসপাতাল’সহ উপজেলার প্রায় সকল প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন। এতে শত-শত রোগী চিকিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এদিকে, চিকিৎসকরা না আসায় উপজেলা সদরের ফার্মেসি ও খাবার হোটেলের মালিকদের ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়েছে। দুপুরে উপজেলা সদরের কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসকদের আসার অপেক্ষা করে রোগীরা ফিরে যাচ্ছে।
হাসপাতাল মালিক ও র্কমকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর প্রতি শনিবার বিকেল ৪টা থেকে নাঙ্গলকোট জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখেন। গত ১১ জানুয়ারী শনিবার স্তানীয় ডিগ্রি কলেজ মসজিদ থেকে আসরের নামাজ পড়ে বের হলে ওই চিকিৎসকের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসক বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট পৌর সদরের হরিপুর গ্রামের হারুন রশিদের ছেলে আকাশ (১৯) সহ অজ্ঞাত নামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন। চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার দাবী করেন তারা।
নাঙ্গলকোট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি আপনারই ভাল জানেন। আমি ব্যস্ত আছি সময় করে ফোন দিবো।