কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ‘রামেরবাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টেকনিক্যাল এন্ড কমার্স কলেজ’ সরকারিকরণের ঘোষনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। পাশাপাশি ওই কলেজকে জাতীয়করণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক মন্ডলী, গভর্ণিংবডি, শিক্ষার্থীরাসহ এলাকাবাসী। সদ্য ঘোষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে প্রতিষ্ঠিত ২৮টি প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ২৮টি প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন। তালিকায় কুমিল্লা জেলার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) শাখায় কম্পিউটার অপারেশন, সেক্রেটারিয়েল সায়েন্স ও উদোক্তা উন্নয়ন ট্রেড চালু রয়েছে। এস এস সি (ভোকেশনাল) শাখায় কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি, ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস ও ড্রেস মেকিং ট্রেড চালু রয়েছে। কলেজটি এইচএসসি শাখায় একবার এবং এস এস সি শাখায় একবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। এছাড়া প্রতি বছরই শতভাগ শিক্ষার্থী ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে আসছে।
কলেজ এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) শাখায় সাড়ে তিন শত শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজ শাখায় অধ্যক্ষসহ সাত শিক্ষক, চার কর্মচারী। স্কুল শাখায় সাত শিক্ষক, তিন কর্মচারীসহ মোট ২১জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে।
রামেরবাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টেকনিক্যাল এন্ড কমার্স কলেজ অধ্যক্ষ নুরুর রহমান বলেন, কলেজটি সরকারিকরণে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি আমাদের অভিভাবক কুমিল্লার কৃতি সন্তান মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এমপির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরো বলেন, নাঙ্গলকোটের মাটি ও মানুষের নেতা আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জয়নাল আবেদীন ভুঁইয়ার হাতে গড়া এ প্রতিষ্ঠান। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে ১বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের মাঠ ভরাট, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে কলেজের অনুমোদন, কলেজের ভবন নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে অনুমোদন, কলেজ এবং ভোকেশনাল শাখার এমপিওভুক্তি সব তিনি নিজ হাতে করেছেন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে কলেজ সরকারিকরণের কথা শুনে অনেক খুশি হতেন। আমি উনার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। কলেজটি সরকারিকরণে এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী সবাই উৎফুল্ল। কলেজটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।